ঢাকা সোমবার, মে ২০, ২০২৪
বাঞ্ছারামপুরে প্রবাসীর বাড়িতে তান্ডব নিরাপত্তাহীনতায় বাড়ি ছাড়া স্মৃতি
  • মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • ২০২২-০৮-১৬ ১২:৪৯:৪১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে চাদা না পেয়ে এক কুয়েত প্রবাসীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙ্গচুর -লুটপাট করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে প্রানভয়ে শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছাড়া রয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী আঞ্জুমান আরা সরকার স্মৃতি। বাঞ্ছারামপুর পৌর শহরের মধ্যপাড়ায় গত ৯ই আগষ্ট সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় ত্রিপল নাইনে কল করে পুলিশের সহায়তা কামনা করেন ওই প্রবাসীর স্ত্রী। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কান্দাপাড়া গ্রামের মো: নুরুল ইসলাম, মো: বিল্লাল মিয়া, মো: আল আমিন ও মো: আরিফ নামে ৪ জনকে আটক করে। কিন্তু আধঘন্টা পরই আবার তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে প্রবাসীর স্ত্রী আঞ্জুমান আরা সরকার এ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে(বাঞ্ছারামপুর) একটি মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আঞ্জুমান আরা সরকার তার বাড়িতে একটি ঘর নির্মান করার কাজ শুরু করলে কান্দাপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম ও তার সন্ত্রাসী দলবল ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না পাওয়ায় গত ৯ই আগষ্ট ওই বাড়িতে এসে স্মৃতির দোতলা বসত বাড়ির নিচতলায় হামলা চালায়। এসময় হেমার দিয়ে বিল্ডিংয়ের নিচতলার দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে। ভাঙ্গচুর করে কক্ষের দরজা ও আসবাবপত্র। রাম দা, কিরিচসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আসা ১৫/১৬ জনের সন্ত্রাসী দল এক ঘন্টা সময় ধরে ওই বাড়িতে তান্ডব চালায়। এরপর স্মৃতিকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ষ্টিলের আলমারির তালাভেঙ্গে তার স্বামীর পাঠানো নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও সাড়ে ৩ লাখ টাকা মুল্যের ৫ ভরি স্বর্নালংকার লুট করে নেয়। এছাড়া কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। এ ঘটনা চলাকালে স্মৃতি ত্রিপল নাইনে কল করলে বাঞ্ছারামপুর থানার এসআই মোজাম্মেলের নেতৃত্বে ৫/৬ জন পুলিশ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে এবং সেখান থেকে হামলায় জড়িত ৪ জনকে আটক করে হাতে হ্যান্ডকাপ পড়ায়। কিন্তু আধ ঘন্টা পর ঘটনাস্থল থেকেই তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে এ ঘটনায় আদালতে কান্দাপাড়া গ্রামের মো: নুরুল ইসলাম(৪৫), মধ্যপাড়ার বিল্লাল মিয়া(২৫), মো: আল আমিন(৩২), আরিফ(২০), আবদুর রউফ শুভ(২১), নমসুদ্র পাড়ার নাসির(২০), মো: ইকবাল(২৮), মো: রিপন(২৫) ও একান্ত দাশ(২১)কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন স্মৃতি। আদালত মামলাটি বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে ঘটনার পরপরই আতঙ্কে বাড়ি ছেড়েছেন আঞ্জুমান আরা সরকার স্মৃতি। তিনি জানান-হামলার সময় নুরুল ইসলাম তাকে দু’টুকরো করে কেটে তারে ঝুলিয়ে রাখার হুমকী দেন। তার ছেলেকে মেরে ফেলার এবং তার স্বামী বিদেশ থেকে এলে বিমানবন্দর থেকে উঠিয়ে নিয়ে গুম করে ফেলবে বলে হুমকী দেয়। এরপরই নিরাপত্তাহীনতায় তিনি বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে যান। তাকে থানায় যেতেও বাধা দেয়া হয়। এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম বলেন-আমাদের পুলিশ গিয়েছিলো। কিন্তু কাউকে ধরে আনেনি। তাছাড়া এই ঘটনার বিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ নেই। তবে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন-ঘটনাটি আমি অবহিত নই। তবে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে আমি ব্যবস্থা নেব।
সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন থেকে চাঁদা উত্তোলন, র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার ১১
শিশু শ্রমিককে বলাৎকারের অভিযোগে রেস্তোরাঁ মালিক রফিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
নলছিটিতে এক কেজি গাঁজাসহ যুবক আটক
সর্বশেষ সংবাদ