ঢাকা বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
দিনাজপুরে ঘন ঘন লোডশেডিং জনজীবন বিপর্যস্ত
  • সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর
  • ২০২২-০৭-২১ ০৮:১৮:২৪
দিনাজপুরে ঘন ঘন লোডশেডিং আর ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই গরমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, অফিস আদালতে লোডশেডিং ব্যবসা প্রতিষ্ঠনে কর্মচারী কর্মকর্তা, অফিস আদালতের কর্মচারী কর্মকর্তা এবং শ্রমজীব মানুষেরা চরম বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সরকার ঘোষণা অনুযায়ী যে এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না সেই এলাকায় পূর্ব থেকেই মাইকিং করা হওয়ার ঘোষণা প্রদান করলেও এরকম কোন মাইকিং বা বিদ্যুৎ না থাকার পূর্ব ঘোষণা প্রদান করা হচ্ছে না। বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে। এই অবস্থায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ অফিস আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে বাইরে এসে একটু বাতাসের আশায় বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিং এ কোনো কাজই করা যাচেছ বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। দিনাজপুর নিমতলায় কয়েকজন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে দিনে অন্তত তিন থেকে পাঁচবার বিদ্যুৎ চলে যায়। এই লোডশেডিং এর ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে থাকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসছে না ক্রেতা বলে অভিযোগ করেন। এই অবস্থায় চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির আশঙ্কা করছে ব্যবসায়ীরা। দিনাজপুর শহরের মুন্সিপাড়ার ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ সেলিম বলেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে থাকাটাই অনেকটাই দায়ী হয়ে চলে দাঁড়িয়েছে। লোডশেডিং এর সময় দীর্ঘ হওয়ায় দোকানে বসে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ী মহসিন আলী বলেন জামা কাপড় খুলে দোকানে বসে আছি। তারপরও ঘামে যাচ্ছি অসহ্য লোডশেডিং এর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ী আবু তাহের খান বলেন বিদ্যুতের ডিজিটাল মিটার নিয়েছি প্রিপেইড বিল পেইড করছি বিদ্যুৎ নেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। সন্ধ্যার সময় কারেন্ট চলে যায় আবার এক ঘন্টা থাকার পর আবার চলে যায় এই ঘন ঘন লোডশেডিং এর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেন দিনাজপুর জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এবং ২ এর মাধ্যমে দিনাজপুর জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। দিনাজপুর জেলায় মোট ১৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে সময় ভেদে ৩০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। ফলে এই সমস্যাটা সৃষ্টি হচ্ছে তাই এক স্থানের বিদ্যুতের লোডশেডিং দিয়ে অন্য স্থানে সরবরাহ করা হয়। যেহেতু বিদ্যুতের চাহিদা বেশি সরবরাহ কম তাই এক এলাকা বন্ধ রেখে অন্য এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। দিনাজপুর নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই প্রধান নির্বাহী এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, কোম্পানি নেস্কো দিনাজপুর পৌর এলাকায় দুটি অফিসের আন্ডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। যা পৌর এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ দিনাজপুর পৌর এলাকায় নেস্কোর বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৪৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ.। সরবরাহ করা হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ মেগাওয়াট মাঝেমধ্যে পরিপূর্ণ বিদ্যুৎ পাওয়া যায় সেই সময় লোডশেডিং হয় না। তাই আমাদের সাপ্লাই যেমন সেই অনুসারে সরবরাহ করা হচ্ছে তাই কিছু এলাকায় লোডশেডিং চলছে।
তীব্র প্রবাহ থেকে স্বস্তি পেতে বৃষ্টির জন্য দিনাজপুরে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
নীলফামারীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ
দিনাজপুরে প্রচন্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন
সর্বশেষ সংবাদ