ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
বিশুদ্ধ পানির সংকট বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ
  • সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • ২০২২-০৬-২১ ০৫:১৫:১৯
টানা বৃষ্টি ও অব্যাহত ভাবে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড় ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বসত বাড়ি ও টিউবওয়েল, নেই বিদ্যুৎ। ফলে বন্যার আক্রান্ত পরিবার গুলোতে ও আশ্রয় কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলায়। বৃহস্পতিবার রাতে বন্যার পানি সকল রেকর্ড অতিক্রম করে জেলা শহর সহ জেলার ১২টি উপজেলায় সর্বত্রই নলকুপ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বসবাসকরী মানুষ জন খাবারের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির সংকট পড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে আছে হাওরাঞ্চলের মানুষ। টাংগুয়ার হাওর পাড়ের জয়পুর,গোলাবাড়ি,চিলানী তাহিরপুরসহ হাওর পাড়ের প্রতিটি গ্রামের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। তাদের বিশুদ্ধ পানির সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা আরিফুর রহমান জানান,বন্যায় আমরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে সময় পার করছি। খাবার পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বিশুদ্ধ পানি না পেয়ে হাওরের পানি খেতে বাধ্য হচ্ছেন। জেলার তাহিরপুর উপজেলার মানিকখিলা গ্রামের বাসিন্দা সুবর্ণা বেগম জানান,বন্যার চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে শিশু,নারী ও বৃদ্ধ মহিলারা ঘর থেকে বের হতে পারি না। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পরিবার পরিজন নিয়ে দূর্ভোগে পরেছেন। জেলা পৌর শহরের আরপিন নগর এলাকার বাসিন্দা মনোলাল জানান,এমনিতেই ঘরের ভেতরে বুক পানি দুতলা বাড়িতে উঠেছি এর মধ্যে বিশুদ্ধ পানির সংকট। কারন টিউবওয়েল পানির নিচে এছাড়াও বন্যা শুরুর পর থেকেই বিদ্যুৎ নেই। এখন বাজার থেকে বোতল জাত বিভিন্ন কোম্পানি পানি কিন্তে বাজারে এসেছে। ষোলগর এলাকার বাসিন্দা জাসরীন বেগম জানান,বন্যার পানি ঘরের ভেতরে বাসা ছেড়ে একটি তিন তলা বাড়িতে উঠেছি। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিদুৎ নেই যার ফল চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। বিশুদ্ধ পানির সংকটে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানি পানি বোতল কিনে খেতে হচ্ছে। দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমদ মোরাদ জানান, আমার ইউনিয়নটি হাওর বেষ্টিত হওয়ার চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে প্রতিটি গ্রামের বাসিন্দারা। ত্রান সহায়তা বাড়ানো উচিত।
মাউশির প্রদর্শক ও গবেষণা সহকারি পদের ফল প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধন
পঞ্চগড়ে ভারী বর্ষণে ভেঙে গেছে সড়ক, বন্ধ যান চলাচল
পলাশে ঘণ ঘন লোডশেডিং, ৪ হাজার মুরগীর মৃত্যু