ঢাকা রবিবার, মে ৫, ২০২৪
আখাউড়ায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভাঙ্গনে ১৫ গ্রাম প্লাবিত
  • মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • ২০২২-০৬-১৮ ০৯:৪০:৪৮
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় টানা বৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ভারী বর্ষণের কারণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন এবং মনিয়ন্দ ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্ণেল বাজার এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ খোরশেদ আলম ও কিরণ মিয়া বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে আখাউড়া উপজেলার কালনন্দি খাল এবং হাওড়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আখাউড়া দক্ষিন এবং মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এসব গ্রামের লোকজন। ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামগুলোর মধ্যে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর, বাউতলা, সেনারবাদী, উমেদপুর এবং মনিয়ন্দ ইউনিয়নের জয়নগর, খলাপাড়া, আইড়ল, ষোলঘর, লক্ষ্মীপুর, খাড়কুট, তুলাইশিমুল, বড়লৌহঘর ও বান্ডুসার গ্রামে শতাধিক পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় আছেন। ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলী জমি, গাছ পালা, এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি। ক্ষতিগ্রস্থ শাহানারা বেগম জানান উজান থেকে নেমে আস পানি তার বসত ঘরে প্রবেশ করেছে। তিনি অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে তিনি কোনো ধরনের সহায়তা পাননি। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে সহায়তা প্রত্যাশা করছেন। উপজেলার দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, তার এলাকার পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তারা ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করছেন। উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুল চৌধুরী দীপক বলেন, তার এলাকার ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে সরকারী সাহায্য সহযোগীতা এখন পর্যন্ত সব এলাকায় পৌছায়নি। তবে জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ দিকে হাওড়া নদীর বাঁধ ভাঙ্গার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি পানিবন্দি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের জানান, ক্ষয়ক্ষতি পরিমান নিরুপন করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ ২৮টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে সহায়তা দেয়া হয়েছে। পানি কমে যাওয়ার পর বাঁধ মেরামত কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানী-রপ্তানী কারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, উজানে বর্ষণের ফলে আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক সড়কের একাংশ তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকগুলো তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যেকোনো মুহুর্তে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তীব্র প্রবাহ থেকে স্বস্তি পেতে বৃষ্টির জন্য দিনাজপুরে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
নীলফামারীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ
দিনাজপুরে প্রচন্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন
সর্বশেষ সংবাদ