ঢাকা শনিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
ডোবায় আশ্রয়ণ প্রকল্প নয়
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
  • ২০২২-০৪-২৬ ২২:৪৫:১১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জলাশয় ভরাট করে আশ্রয়ণ প্রকল্প করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই ওই জলাশয়ের কিছু অংশ ভরাট করে গোপনে শ্রেণি পরিবর্তন করার পায়তারা চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার এলাকার মানুষ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, জলাশয়টি ভরাট হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি এলাকার মানুষকে অন্তত সাত ধরণের সমস্যায় পড়তে হবে। লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, জেলার সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের পারুলিয়াপাড়া গ্রামে একটি ডোবা রয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি ওই ডোবাটি ভরাট শুরু করেন তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা। জানানো হয়, এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। এ অবস্থায় এলাকার লোকজন এতে আপত্তি জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন। পরিবেশ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টরা সরজমিন পরিদর্শন করে ভরাট কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেশ। এদিকে জেলা রেকর্ড রুমের একটি নথিতে দেখা যায়, ১১৩৫ দাগের ৩২ শতাংশের ওই জায়গাটি ডোবা শ্রেণির। জায়গাটির মালিক বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক। পরিবেশ অধিদপ্তরের এক চিঠিতেও এটি ডোবা উল্লেখ করে ভরাট চলছে বলে অভিযোগ আনা হয়। ওই এলাকার বাসিন্দা কলেজ ছাত্র মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, 'ডোবাটি ভরাট হলে সেচসহ নানা কাজে সমস্যা দেখা দিবে। বর্ষায় এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিবে। সরকার যেখানে জলাশয় ভরাট নিষেধ করে রেখেছে সেখানে সরকারের পক্ষে কিভাবে এটা করা হবে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এলাকার প্রায় ২০০ মানুষ স্বাক্ষর দিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।' সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ বলেন, 'কোনোভাবেই জলাশয় ভরাট করা যাবে না বলে সরকারেরই নির্দেশনা আছে। আমরাও চাইনা এটি ভরাট করা হউক। পরিবেশ ও জনগণের ক্ষতির বিষয়টি আমাদেরকে আগে দেখতে হবে।'
Utilitarianism (পালংবাদ) মূলত কী?
দ্রুত নির্বাচনের জন্য এত মানুষ শহীদ হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’