লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কশিরাম মুন্সিরবাজার এলাকায় জড়াজির্ন ঝুপড়ি ঘরে থাকা বৃদ্ধা রহিমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে দেখতে গেলেন ওই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল মান্নান। এসময় স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ওই বৃদ্ধা রহিমা বেগমকে পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও আব্দুল মান্নান।
জানা গেছে, ওই উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম গ্রামের মুন্সিরহাট এলাকায় তিস্তা নদীর বাধে একটি জড়াজির্ন টিনের ঝুপড়ি আর ভাঙ্গা বিছানায় কাটছে রহিমা বেগমের জীবন চক্র। ওই উপজেলায় এ পর্যন্ত ৬২৫টি পরিবার মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর পেলেও রহিমার ভাগ্যে জুটেনি সেই ঘর। বৃদ্ধা রহিমা বেগমের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। কোনো ছেলেই তাদের বৃদ্ধ মায়ের খবর নেয় না। ফলে বৃদ্ধা রহিমার এ বয়সে কখনো কখনো মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে, কখনো আবার কারো কাছে সাহায্য নিয়ে চলে জীবন জীবিকা। শিশু নাতনিকে নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে কাটছে রাত। তবুও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির চোখ পড়েনি বৃদ্ধা রহিমার উপর।
এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে প্রকাশ হলে বৃহস্পতিবার সকালে বৃদ্ধা রহিমা বেগমের খোঁজ খবর নিতে তার বাড়ি যান ওই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল মান্নান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আহম্মেদ।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল মান্নান জানান, বৃদ্ধা রহিমা বেগমকে পাশে নির্মানাধীন আশ্রয়ন প্রকল্পের জমিসহ পাকা ঘরে যেতে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু আশ্রয়ন কেন্দ্রে যেতে রাজি হয়নি রহিমা বেগম। পরে স্থানীয় লোকজনদের সাথে এ নিয়ে কথা হয়েছে। ওই বাঁধে যেহেতু পাকা ঘর নির্মাণ করা সম্ভব নয় তারপরও ওই স্থানেই আমরা বৃদ্ধা রহিমাকে কিভাবে পুণর্বাসন করা যায় তার পরিকল্পনা করছি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ইউএনও আব্দুল মান্নান।