ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অজ্ঞাত সেই শিশু অবশেষে ১১ মাস পর মায়ের কোলে ফিরেছে। মিলেছে শিশুটির নাম পরিচয়ও। তার নাম শরীফ মিয়া। সে জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউপির ধনরাজপুর গ্রামের রশিদ মিয়া ও চানবানুর সন্তান। সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ওয়াহিদুজ্জামান শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেন। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার ও শিশুটিকে দেখাশোনা করা সদর হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী উজ্জল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
তত্ত্বাবধায়ক ওযহিদুজ্জামান জানান, পরিবার শিশুটিকে নিতে আসায় তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে শিশুটিকে তাদের কাছে দেয়া হয়েছে। অর্থের অভাবে চিকিৎসা না করাতে পারা ও মায়ের মানসিক অসুস্থতার কারণে এতদিন পরিবার খোঁজ নেয়নি বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি জেলার আশুগঞ্জে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয় শিশুটি। পরে রেললাইনের পাশ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ২৫ দিন শিশুটি কোমায় ছিল। তারপর ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করে সে। গত ১ বছর ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিল। সে সময় নিজ দায়িত্বে শিশুটির সার্বিক দেখাশোনা ও পরিচর্যা করেন হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী উজ্জল মিয়া।