ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে চাঁদা না দিলে দোকানপাট ও বাড়িতে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এতে আগুন আতঙ্কে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় থানায় জিডি করেও প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
আজ ৫ জানুয়ারী বুধবার ভোর রাতে নবীনগর পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়ার বসবাস কারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো.মোশারফ হোসেনের বাসভবন, পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের বসবাসকারী সাবেক সিভিল র্সাজন ডা.মো. সাদেক মিয়ার বাসভবন ও নবীনগর বাজার কমিটির সভাপতি মো. মনির হোসেনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনটি বাড়িতে থাকা একটি প্রাইভেটকার,দুটি মটরসাইকেল সহ প্রায় মোট ৫০ লক্ষাধীক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এসময় নবীনগর ব্যাবসায়ী কমিটির সভাপতি মনির হোসেনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের দৃশ্যটি ওখানকার সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে। সে ফুটেজ গুলি পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানান যায়।
এছাড়াও ৩ জানুয়ারী গত সোমবার রাতে নবীনগর সদর বাজারের আদালত মার্কেটের দুটি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। পুড়ে যাওয়া দোকান দুটি হলো, আদালতপাড়ার সালেহ আহমদ খানের খান পেপার হাউস ও জগদীশ ঘোষের স্যানিটারি ও ফলের দোকান। আগুনে দোকান দুটির প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালপত্র পুড়ে গেছে। আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ ও পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনের সূত্রপাতের কারণ জানা যায়নি। আগুন নেভানোর সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে।
চাঁদাবাজির এই নতুন কায়দায় আগুন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন ব্যবসায়ীরা। থানায় জিডি করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
নবীনগর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মনির হোসেন, ব্যবসায়ী শেখ জামাল উদ্দিন, নারায়ণ চন্দ্র কর, ওয়ালী উল্লাহ ওরফে শাহ জালালের দোকানে কয়েক মাস ধরে ফোনে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। চাঁদা না দিলে দোকান পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
তারা জানান, ০১৭৭২৯২৩০১৪, ০১৪০৪৯৯৩১০৬, ০১৭৭২৯২৩০১৪ নম্বর থেকে ফোন করে চাঁদা চাওয়া হয়। টাকা না পাঠালে দোকানে পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। নবীনগর থানায় হুমকির বিষয়ে কয়েকটি জিডি হয়েছে।
নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশিদ বলেন, দুর্কৃত্তদের ছোড়া আগুনে দুইটি মোটরসাইকেল, একটি প্রাইভেটকার পুরেছে শুনেছি। দুর্বৃত্তদের ধরতে প্রযুক্তি প্রয়োগ করা সহ আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা করছি। আমি সরবার সহযোগীতা চাই।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর আগেও এলাকায় চাঁদা চেয়ে চিঠি ও ফোন করা হতো।টাকা না দিলে দোকান ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হতো।গত কয়েক বছর এঘটনা বন্ধ থাকার পর আবারো অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। এঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।