ঢাকা বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
মহেশখালীতে রাজাকারপুত্র মেয়রের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যাচেষ্টা
  • কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
  • ২০২১-১১-২৫ ০৭:২০:৩১
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত মানবতাবিরোধি আন্তর্জাতিক অপরাদ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ায় দেশের একমাত্র দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে হত্যা চেষ্টার শিকার হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন। ২৪ নভেম্বর রাতে মহেশখালীতেই তাকে হত্যার চেষ্টা করেন মামলার আসামী কুখ্যাত রাজাকার হাশেম সিকদারের পুত্র, পলাতক কুখ্যাত রাজাকার মৌলভি জাকারিয়ার ভাইপো ও মহেশখালী পৌরসভায় নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত মেয়র মকসুদ মিয়ার লালিত সন্ত্রাসীরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন খোদ মকসুদ মিয়ার তিন পুত্র। হাসপাতালে পিতার সঙ্গে আসা মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনের এক কন্যা জানান, ২৪ নভেম্বর রাতে আমজাদ হোসেন উপজেলা কমপ্লেক্স মসজিদে এশার নামাজ আদায় করেন। এরপর বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানাকালে লিডারশিপ রোডে তার উপর অতর্কিতে হামলা করা হয়। হামলায় অংশ নেয় ২৫ থেকে ২৬ জন সন্ত্রাসী যুবক। সন্ত্রাসীরা প্রথমে তাঁর মাথায় ধারালো দা দিয়ে কোপ দেয়। এরপর লোহার রড দিয়ে পা থেথলে দেয়। এলোপাতাড়ি হামলায় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের সৃষ্টি হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে তিনি মহেশখালীতে থানায় যান। এরপর পুলিশি সহযোগিতায় সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য তাকে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় চিকিৎসকরা তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করলে পুলিশি সহযোগিতায় তাঁকে কক্সবাজার পৌঁছার ব্যবস্থা করা হয়। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন বলেন, হামলাকারীদের আমি চিনেছি। মেয়র মকসুদ মিয়ার তিনপুত্র নিশান, হামজাহ, শাহজাহসহ মাইনুদ্দিন, শামসুদ্দিন, জাহাঙ্গীর, মামুন, হাছান মোর্শেদ, বশির, তৌহিদ সহ ২৫ জনের উপরে সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নেয়। দায়ের কোপ থেকে আত্মরক্ষার্থে হাত দেয়ায় আমার হাত কেটে গেছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা না হলে আমি বাঁচতাম না। তাঁরা চিৎকার করায় সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে স্থান ত্যাগ করে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, আমি মানবতা বিরোধি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষী। আদালতে কুখ্যাত হাশেম সিকদার আর মৌলভি জাকারিয়ার মুখোশ উন্মোচন করেছি। এরপর থেকেই ক্রমাগত আমাকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমার উপর কয়েক দফা হামলা করা হয়েছে। জোরপূর্বক আমার চিংড়ি ঘের দখল করা হয়েছে। এই বিষয়ে মহেশখালী থানায় মামলা করতে গেলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। পরবর্তীকালে আদালতের নির্দেশে মামলা গ্রহণ করা হলেও আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই বলেন, এখনো (২৫ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টা) মামলা দায়ের করা হয়নি। অভিযোগপত্র জমা দিলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ঘটনাস্থল সিসিটিভির আওতায় নেই বলেও জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জে নগদ টাকা সহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
নাগেশ্বরীতে টিসিবির ৭বস্তা ডাল আটক; ৫০বস্তা চাল চিনি ডাল সিলগালা
লক্ষ্মীপুর মেঘনায় অবৈধ জালে মাছ শিকার, ২১ জেলে আটক
সর্বশেষ সংবাদ