কেহই কথা রাখেনি এভাবেই বলেলন এলাকাবাসী। পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড এর গড়পাড়া বাইপাস সড়ক হইতে দড়িহাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের বিদ্যাপাঠে যাওয়ার একটিই রাস্তা যে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার জন্য বিগত দিনে স্কুল প্রতিষ্ঠা হইতে এ পর্যন্ত বহু জন প্রতিনিধি কথা দিয়েছিলেন, রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে দিবেন বলে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেহই কথা রাখেননি বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় গড়পাড়া, দড়িহাওলাপাড়া, ভাড়ারিয়া পাড়া, ভাগ্যেরপাড়া সহ কয়েকটি গ্রামের লোক এ রাস্তায় চলাচল করে। তাদের দূর্ভোগের কথা জানালেন এলাকাবাসী, রাস্তাটির এক পাশ দিয়ে সেচ ইরিগ্রেশন প্রকল্পের একটি পাকা খাল গিয়েছে অপর পাশে নিচু এলাকা কৃষি জমি। তাই বর্ষা মৌসুমে হাটু পর্যন্ত পানি থাকায় স্কুলের কমলমতি শিশুদের স্কুলে যেতে খুবই কষ্ট হয়। এবং জনগনের চলাচলের দূর্ভোগের কোন শেষ নেই। আবার কখনো কখনো দেওয়ালের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে শিশুরা দূর্ঘটনার স্বীকার হয়। শুষ্ক মৌসুমে ও থাকে পানি কাঁদামাটি গড়পাড়ার ভোটারাদের ভোট দেওয়ার একটি মাত্র কেন্দ্র দড়িহাওলা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (দেবালয়) নারী পুরুষ প্রায় ২২শত ভোটার, ভোটারদের ও কয়েক কিলোমিটার ঘুরে হেঁটে যেতে হয় ভোট দিতে, এভাবেই ক্ষোপ প্রকাশ করলেন ভোটাররা।
এব্যপারে ঘোড়াশাল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেক পৌর প্রশাসক শেখ মোঃ ইলিয়াস বলেন কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা, ভোটাররা ও এলাকার জনগন ঝুকি নিয়ে এই রোডে চলাচল করেন। তাই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ন রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী হলে জনগনের দূর্ভোগলাগভ হবে। বর্তমান মেয়র হাজী শরিফুল হক শরিফ ও ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহবুব আলম খন্দকার জানান এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি মন্দির সংস্কৃত কলেজ রয়েছে। আমাদের অসমাপ্ত কজের মধ্যে এই রাস্তার কাজটিও বাকি আছে এই রাস্তাটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ন।
এবিষয়ে ঘোড়াশাল পৌরসভার বর্তমান নবনিযুক্ত মেয়র মোঃ আল মুজাহিদ হোসেন(তুষার) ও বর্তমান ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ জাহিদ হাসান ভূইয়া বলেন, আমরাও এ রাস্তাটির ব্যপারে অবগত আছি। এ রাস্তাটি হলে এ রাস্তার সাথে কয়েকটি রাস্তা সংযোগ হবে। আমরা জানি এলাকার জনগন খুবই কষ্ট করে এ রাস্তা যাতায়ত করে। রাস্তার মাঝামাঝি অবস্থানে একটি ব্রিজ ও রয়েছে। আমরা দায়িত্ব গ্রহন করার পর সর্বাত্বক গুরুত্ব দিয়ে সর্ব প্রথম এ রাস্তাটির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। দড়িহাওয়াপাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় (দেবালয়) এর প্রধান শিক্ষক ও অভিবাবক প্রতিনিধি, সভাপতি বলেন এ রাস্তাটির দূর্ভোগের করনে শিক্ষর্থী ও কম। রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী হয়ে গেলে স্কুলে আরও কয়েক গুন বেশি শিক্ষার্থী হয়ে যাবে। আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি এ চলমান শুষ্ক মৌসুমেই যেন রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।