ঢাকা শনিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধানের চারার জমজমাট হাট
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
  • ২০২১-০৯-২১ ০৬:১১:১০

রোপা-আমন মওসুমকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বসেছে ঐতিহ্যবাহী ধানের চারার হাট। বিভিন্ন জাতের ধানের চারা নিয়ে কৃষক ও ব্যাপারীরা হাটে আসছেন। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা এখান থেকে তাদের কাঙ্খিত চারা সংগ্রহ করছেন। জেলার চাহিদা মিটিয়েও বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে এসব চারা। তবে হঠাৎ পানি কমে যাওয়ায় ধানের চারার চাহিদা বেড়ে গেছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মওসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশী জমিতে বীজতলা তৈরী হওয়ায় চারা নিয়ে হাহাকার নেই । 

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, চলতি মওসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫০ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। রোপা-আমন মওসুমকে সামনে রেখে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন্দনপুরে বসেছে ধানের চারার সর্ব বৃহৎ হাট। এ ছাড়া কুট্টাপাড়া, আড়াইসিধা, লালপুর ও চাঁন পুর সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় মিলে ১৮ টি চারার হাট রয়েছে। বীজতলা থেকে উৎপাদিত চারা হাটে নিয়ে আসছে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা হাট থেকে তাদের কাঙ্খিত চারা সংগ্রহ করছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দু’ধারে গড়ে উঠা হাট থেকে বিভিন্ন স্থানের কৃষকরা খাসা, নাজিরশাইল, বীনা-৭, বীনা-২২ ও গাইন্ধার চারা সংগ্রহ করছে। প্রতি আটি ধানের চারা ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রাক্ষণবাড়িয়াসহ আশ পাশের জেলা থেকে খুচরা ও পাইকারী ক্রেতারা আসছেন চারা নিতে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার চারা বিক্রি হয় এ হাটে। তবে ঐতিহ্যবাহী এই হাটের জন্য স্থায়ী কোন জায়গা না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রবিউল হক মজুমদার জানান, বন্যাত্তোর চারার সংকট মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে নাভিজাত বীজতলা তৈরীর পাশাপাশি মান সম্পন্ন  চারা উৎপাদনে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ সহযোগীতা করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা এসে ধানের চারা কিনে নিয়ে থাকে। চলতি মওসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশী জমিতে বীজতলা তৈরী হওয়ায় চারা নিয়ে হাহাকার নেই। 

Utilitarianism (পালংবাদ) মূলত কী?
দ্রুত নির্বাচনের জন্য এত মানুষ শহীদ হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’