ঢাকা মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত সেতু এখন ডুবন্ত সেতু
  • রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিঃ
  • ২০২১-০৯-১৯ ০৫:৪৫:৫২

টানা বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় রাঙ্গামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে অবস্থিত মনোরম ঝুলন্ত সেতুর পাটাতন ডুবে গেছে। প্রায় ৬ ইঞ্চি পানির নিচে তলিয়ে গেছে ঝুলন্ত সেতুর পাটাতন। যেন ঝুলন্ত সেতু এখন ডুবন্ত সেতুতে পরিণত হয়েছে। হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডুবে যাওয়া ঝুলন্ত সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয় ও পর্যটকেরা। অনেক পর্যটক সেতুতে উঠতে না পারায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছে।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মোঃ রিয়াদ ও অর্ক জানান, ঝুলন্ত সেতু থেকে হ্রদের সৌন্দর্য্যে উপভোগ করতে রাঙ্গামাটিতে ঘুরতে এসেছেন। কিন্তু ঝুলন্ত সেতুর পাটাতন পানিতে তলিয়ে যাওয়া আর সেতুতে উঠা হলো না তাদের। হতাশ মন নিয়ে ফিরতে হচ্ছে তাদের। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

এবিষয়ে রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান,প্রতিবছর আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে হ্রদের পানি বেড়ে গেলে ঝুলন্ত সেতু ডুবে যায়। ইতোমধ্যে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর ঝুলন্ত সেতুর পাটাতন প্রায় ৬ ইঞ্চি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সেতুর পাটাতন ডুবে যওয়ায় পর্যটকদের প্রবেশে অস্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে হ্রদের পানি কমে গেলে পর্যটকদের জন্য আবারো উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, সত্তর দশকের দিকে সরকার রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৬ সালে জেলা শহরের তবলছড়ি এলাকায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ৩৩৫ ফুট দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করে। পরে পর্যটন কর্পোরেশন পর্যটকদের পারাপারের সুবিধায় দু’টি পাহাড়ের মাঝখানে নির্মাণ করে রাঙ্গামাটির আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতুটি। এটি বর্তমানে দেশে-বিদেশে আকর্ষণীয় হয়ে ব্যাপক আকারে পরিচিতি পেয়েছে। ঝুলন্ত সেতুর পূর্বদিকে কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশিসহ রয়েছে ছোট-বড় নৈসর্গিক সবুজ পাহাড়।

সুন্দরবনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু হত্যা বন্ধের দাবিতে দিনাজপুরে শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদা
সর্বশেষ সংবাদ