বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হকের রেল লাইনের পাশে বসবাস। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবেগময় একটি স্ট্যাটাস দেন রোকনুজ্জামান সোহেল নামে এক শিক্ষক। ওই স্ট্যাটাস দেখে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হককে পুর্ণবাসনের উদ্দ্যোগ নেয় স্থানীয় প্রশাসন। সেই উদ্দ্যেগের অংশ হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হককে ১৫ শতাংশ জমি স্থায়ী বন্দবস্ত দেয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর ও হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন অনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হককে ওই জমির দলিল হস্তান্তর করেন।
ওই মুক্তিযোদ্ধাকে বসত বাড়িও তৈরী করে দেয়া হবে এমনটি জানিয়েছেন হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন।
জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হক দেশ মুক্তির যুদ্ধে জয়ী হলেও জীবন যুদ্ধে পরাজিত । তার নিজস্ব কোন জমি না থাকায় স্ত্রীকে নিয়ে রেল লাইনের ধারে বসবাস করতেন। সেখানেই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কষ্টে দিন পার হচ্ছিলো তার । তা দেখে নিজের ফোনে ছবি তুলে ফেসবুকে একটি স্টাট্যাস দেন হাতীবান্ধা ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রোকনুজ্জামান সোহেল। ফেসবুকের ওই স্ট্যাটাস নজরে আসে স্থানীয় প্রশাসনের। পরে সকল অনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সিন্দুর্না ইউনিয়নে বাড়ি করার জন্য ১৫ শতাংশ জমির দলিল হস্তান্তর করেন। জমির দলিল পেয়ে খুশিতে আত্নহারা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হক।
ভুমিহীন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হক বলেন, ইউএনও ও এসিল্যান্ডকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দোআ করি আল্লাহ্ তাদের মঙ্গল করবেন।
স্কুল শিক্ষক রোকনুজ্জামান সোহেল বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হককে জরাজীর্ণ বাড়ি দেখে তা নিয়ে কিছুদিন আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। প্রশাসন বিষয়টি নজরে নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।
হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন বলেন, ভুমিহীন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হক ও তার স্ত্রীকে ১৫ শতক জমি দেওয়া হলো। সেই জমিতে তাদের বসত বাড়িও করে দেওয়া হবে।