নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক প্রয়াত আবদুর রহিম হুমায়ুন-এর ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার (১৮ই সেপ্টেম্বর)। এ উপলক্ষে মরহুমের গ্রামের বাড়িতে মিলাদ ও কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়েছে। আবদুর রহিম হুমায়ুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সাধারন সম্পাদক এবং দৈনিক মানবজমিনের ষ্টাফ রিপোর্টার ও ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি জাবেদ রহিম বিজনের পিতা। ১৯৮৮ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করেন তিনি।
আবদুর রহিম হুমায়ুন ছিলেন তদানীন্তন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর পশ্চিম ইউনিয়নের (বর্তমানে নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন) চেয়ারম্যান। অত্যন্ত ন্যায়-নিষ্ঠা, সততা ও সুনামের সাথে ১৯৬৩ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধকালীন নিজ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধাদের সহায়তায় তার অবদান অসামান্য। এজন্যে বারবার পাকবাহিনীর রোষানালে পড়তে হয় তাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করায় ভৈরব রানীর বাজারে নিজস্ব ভিটিতে পরিচালিত তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়িয়ে দেয় পাকবাহিনী। নিজ এলাকায় আওয়ামীলীগের রাজনীতি এবং সংগঠনকে সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে তার।
নবীনগরের এ অঞ্চলে আওয়ামী রাজনীতির ঠিকানা ছিলেন আবদুর রহিম হুমায়ুন এবং তার পরিবার। আবদুর রহিম হুমায়ুন স্বাধীনতা উত্তরকালে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত হন। ঢাকায় ‘দৈনিক কিষান’ এবং ‘দৈনিক বাংলার মুখ’ সংবাদপত্রে তার সাংবাদিতকা জীবন শুরু হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বৃহত্তর কুুমিল্লার পাঠকপ্রিয় সংবাদপত্র ‘দৈনিক রূপসী বাংলা’র একজন সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা মোল্লাবাড়ির এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৩৮ সালে জন্ম আবদুর রহিম হুমায়ুনের। তার পিতা আবদুর রউফ ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের ডাইরেক্টর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন। তার আপন ছোট ভাই আবদুর রহমান বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর এবং গনযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন।