সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে দুজনের মৃত্যু
- হাজী জাহিদ, নরসিংদী
-
২০২১-০৯-০৩ ১২:৩০:০৪
- Print
নরসিংদীর মনোহরদীর একটি বাড়ির নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন একজন। আজ শুক্রবার দুপুরে মনোহরদীর চরমান্দালিয়া ইউনিয়নের চরমান্দালিয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত দুজন হলেন মনোহরদীর খিদিরপুরের মনতলা গ্রামের হাসিম মিয়ার ছেলে হাছান মিয়া (৩০) ও চরমান্দালিয়া ইউনিয়নের চরমান্দালিয়া গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে মোবারক মিয়া (১৬)। আহত সজীব মিয়াকে (১৭) কিশোরগঞ্জের ভাগলপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ও মৃত দুজনের পরিবারের সদস্যরা বলেন, হাছান মিয়া পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ও তাঁর শ্বশুরবাড়ি চরমান্দালিয়া গ্রামে। কিছুদিন ধরে তাঁর শ্বশুর লালু মিয়ার বাড়িতে একটি সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করছিলেন তিনি। সম্প্রতি ঢালাইকাজ শেষ হওয়ার পর তা শুকানোর জন্য একটি টিন দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাছান মিয়া ওই সেপটিক ট্যাংকের মুখের টিন সরিয়ে মইয়ের সাহায্যে তার ভেতরে প্রবেশ করেন। দীর্ঘক্ষণ তাঁর সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশী মোবারক মিয়াকে ভেতরে পাঠানো হয়। তারও সাড়াশব্দ না পেয়ে আরেক প্রতিবেশী সজীব মিয়া ভেতরে প্রবেশ করে। তিনজনেরই কোনো সাড়া না পাওয়ায় স্থানীয় লোকজন ওই সেপটিক ট্যাংক ভেঙে তাঁদের ভেতর থেকে উদ্ধার করেন।
উদ্ধারের পর তাঁদের তিনজনকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাছান ও মোবারককে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত সজীবকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে পাঠান।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকটির চারদিকে ইটের প্রাচীর দেওয়া হলেও মাটির অংশে পাকা ছিল না, ছিল শুধু মাটি। এতে এর ভেতরে প্রচুর গ্যাস জমা হয়েছিল। ওই গ্যাসের কারণেই তাঁদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।