নির্মম, লোমহর্ষক। কোনো শব্দেই বর্ণনা দেয়া সম্ভব নয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। কর্মচারীদের বেদম পিটুনিতে ফিরলেন লাশ হয়ে। সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিমের এমন মৃত্যুকে, স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড বলছে পুলিশ। আর যেখানে এই নিষ্ঠুর ঘটনা, সেই মাইন্ড এইড হাসপাতাল অবৈধভাবে গড়ে ওঠায় সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিমকে হত্যার সিসিটিভির এই ফুটেজ ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে। যা চোখে পড়ে পুলিশেরও। ফুটেজ পর্যবেক্ষণ এবং গ্রেপ্তার আসামিদের সাথে কথা বলে পুলিশ জানায়, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর পেছনে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে ডিসি অফিসে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, যাদের চিকিৎসাবিদ্যায় পড়াশোনা নেই, তারাই হাসপাতালটি পরিচালনা করতো। মাইন্ড অ্যান্ড এইড হাসপাতালের বৈধ কোনো কাগজপত্রও নেই।
এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসপাতালটির কর্মচারীদের সাথে কথা বলেছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পরে সাংবাদিকদের বলেন, অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠেছে এই হাসপাতাল।
আনিসুল করিমকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১০ আসামিকে ৭ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তার করা হয়েছে হাসপাতালের পরিচালককে।