ভারতে ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতায় আরও কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। তবে পশ্চিবঙ্গ ও রাজধানী দিল্লির সংক্রমণ হার নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত একদিনেও অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের করোনা শনাক্ত হওয়ার পাশাপাশি ৬৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে মোদির দেশে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ হাজার ৩৭০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮ লাখ ১৪ হাজার ৬৮২ জনে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ৬৫০ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৫৬ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি প্রায় ১৫ লাখ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি।
বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত।
দেশটিতে শুরু থেকেই সংক্রমণের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। যেখানে এখনও অবধি ১৬ লাখ ৩২ হাজারের বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে সংখ্যাটা ৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। কর্নাটকে ৭ লাখ ৯৩ হাজার ও তামিলনাড়ুতে সাত লাখের বেশি এখনও অবধি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে সংখ্যাটা চার লাখ ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
কেরলায় করোনা হানা দিয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি মানুষের দেহে। দিল্লিতে মোট আক্রান্ত তিন লাখ ৪৮ হাজার পেরিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৩ লাখ ৪১ হাজার অতিক্রম করেছে করোনাক্রান্তের সংখ্যা। এছাড়া ওড়িশা ও তেলঙ্গানাতে আড়াই লাখ পার করেছে মোট আক্রান্ত। বিহার, অসম, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, ছত্তীসগঢ়, পাঞ্জাবে মোট আক্রান্ত এক লাখের বেশি। দেশের বাকি রাজ্যে আক্রান্ত এখনও লাখের কোটা পেরোয়নি।
শুধু সংক্রমণেই নয় প্রাণহানিতেও শীর্ষে মহারাষ্ট্র। যেখানে এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার ১৫ জন ভুক্তভোগী প্রাণ হারিয়েছেন। তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে মৃত্যু ১০ হাজার ৮৫৮ ও ১০ হাজার ৮২১ জন। উত্তর ও অন্ধ্র প্রদেশে সাড়ে ছয় হাজার ছাড়িয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা।
পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লিতে সংখ্যাটা ছয় হাজার ছাড়িয়েছে। পাঞ্জাবে চার হাজার, গুজরাটে সাড়ে তিন হাজার, মধ্যপ্রদেশে সংখ্যাটা আড়াই হাজার পেরিয়েছে। রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর, ছত্তীসগঢ় ও তেলঙ্গানাতেও মোট মৃত এক হাজার ছাড়িয়েছে। দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে মৃতের সংখ্যা তুলনায় অনেক কম।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়ও ৬৭ হাজার ৫৪৯ জন রোগী সুস্থতা লাভ করেছেন। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা বেড়ে ৭০ লাখ ১৬ হাজার ৪৬ জনে পৌঁছেছে। দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে ৬ লাখ ৮০ হাজার ৬৮০ জনে দাঁড়িয়েছে।