জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় জনগুরুত্বপূর্ণ টালিয়াপাড়া-বেপাড়ীপাড়া মহাসড়কে অবস্থিত একটি বেইলি ব্রিজ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। লোহার তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ ওই ব্রিজের নাট-বল্টু খুলে লক্কড়ঝক্কড় অবস্থা। এতে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে ওই সড়কে চলাচলকারীদের। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলছে ভারী ও যাত্রীবাহী যানবাহন। তবু টনক নড়ছে না কর্তৃপক্ষের।
ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বকশীগঞ্জ উপজেলা থেকে উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম ও রৌমারী উপজেলাগামী এই মহাসড়কের সংযোগস্থল নয়াপাড়া মোড় থেকে নঈম মিয়া বাজার, সারমারা বাজার, ভায়া তারাটিরা বাজার হয়ে সানান্দবাড়ি বাজার পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার।
২০১৯ সালের বন্যায় ওই সেতু ভেঙে যায়। এরপর কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে অস্থায়ীভাবে বিকল্প বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা। উত্তরাঞ্চলের বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে খ্যাত সানন্দবাড়ী, তারাটিয়া, সারমারা ও নঈম মিয়া বাজারের একমাত্র প্রবেশদ্বার হচ্ছে এই সড়ক। একদিকে ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে এঁকেবেঁকে চলছে যানবাহন, অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজের জন্য দুর্ঘটনাও ঘটে প্রতিদিন।
সরেজমিন তদন্তে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে বন্যায় ভেঙে যাওয়া পাকা ব্রিজকেই ব্যবহার করা হয়েছে। ওপর দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিকল্প বেইলি ব্রিজের খুঁটি। পরিত্যক্ত পাকা ব্রিজের ওপর দিয়েই বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করায় উঁচু হয়েছে দুই পাশ। যেন মনে হয় এটা মরণফাঁদ। ভয়ে ভয়ে চলাচল করতে হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও উক্ত ব্রিজ দিয়ে চলা যানবাহন চালকরা জানিয়েছেন, উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক এলাকার একমাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের এমন বেহাল অবস্থা অথচ এই ব্যাপারটি সংশ্লিষ্টদের কারো কোনো নজরেই আসছে না বিষয়টি।
এই ব্যাপারে জামালপুরের সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নওয়াজিস রহমান বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছেন, টালিয়াপাড়া-বেপাড়ীপাড়ার এই বেইলি ব্রিজ নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। যোগ্য কোনো ঠিকাদার না পাওয়ায় কাজটি এখনো করতে পারিনি। উক্ত ব্রিজ নির্মাণের দরপত্র আবার প্রস্তুত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।