দিনাজপুরে লিলিয়াম জাতের ফুল চাষে চাষীদের কে উদ্বুদ্ধকরন মিলিলিয়াম ফুলের প্লট প্রদর্শন ও মতবিনিময় এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে ১১ টার দিকে দিনাজপুর বিএডিসি এগ্রো সার্ভিস সেন্টারে চাষীদেরকে লিলিয়াম ফুলের প্লট প্রদর্শন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিলিয়াম ফুলের কন্দো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লাল তীর কোম্পানির রংপুর ডিভিশনাল ম্যানেজার মেহেদী হাসান খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর রিজোনাল ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম। এ সময়ের উপস্থিত ছিলেন পিডিএস হামিদ আলী, জুনিয়র অফিসার মাহফুজ ইসলাম প্রমুখ।
নেদারল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত লিলিয়াম ফুলের কন্দো আমদানি করে লিলিয়াম ফুলের চাষ ও চাহিদার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এই প্রথম দিনাজপুরের বিএডিসি এগ্রো সার্ভিস সেন্টারে লিলিয়াম জাতের ফুলের চাষের প্লট প্রদর্শন করা হয়। একমাস আগে বিএডিসির এগ্রো সার্ভিস সেন্টারে প্রদর্শনী স্বরূপ কয়েকটি লিলিয়াম ফুলের কন্দো রোপন করে লালতীর সীড লিমিটেড। এরপর থেকেই লিলিয়াম ফুলের বিস্তার ঘটাতে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করুন কাজটি করে যাচ্ছে। বর্তমানে প্লটটিতে লিলিয়াম ফুলে ফুলে ভরে গিয়েছে।
দিনাজপুর জেলার বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে ৩০ জন কৃষককে এই ফুলের প্লট প্রদর্শন ও এর লিলিয়াম ফুল চাষের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
প্রধান অতিথি মেহেদী হাসান খান বলেন, লিলিয়াম জাতের ফুলটি হচ্ছে শীত প্রদান এলাকায় বেশি হয়ে থাকে। এই ফুলটি লেদারল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় চাষ করা হয়। সেখান থেকেই লালতীর সীড লিমিটেড লিলিয়াম ফুলের কুন্দো আমদানি করে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় প্রদর্শনী স্বরূপ চাষ করছেন। এই ফুলটি প্রায় ৭ দিন পর্যন্ত গাছ থেকে তোলার পর সংরক্ষণ করা যায়। এই ফুলের সৌন্দর্য বেশি যেকোনো পরিবেশে এবং যেকোনো অনুষ্ঠানে ফুলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তা এই ফুল দিয়ে পূরণ করা সম্ভব। আমাদের দেশের চাষীরা তাদের বাড়ির সামনে বা স্বল্প পরিসরে জায়গায় এই লিলিয়াম জাতির ফুলের কন্দো রোপন করে নিজেদের ফুলের চাহিদার পূরণসহ বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে। এই ফুলটি রোপন করার মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যেই ফুল আসা শুরু করে এবং এই ফুলের বাজার চাহিদা রয়েছে। হিলিয়াম ফুলের একটি স্টিক ১২০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এতে করেও চাষিরা লাভবান হবে।