জামালপুর বিএডিসি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
- আবুল কাশেম, জামালপুর প্রতিনিধি:
-
২০২৪-১২-১৯ ০২:৪৩:১৫
- Print
জামালপুরে বিএডিসি সেচ কমপ্লেক্স জামে মসজিদের নামে ঠিকাদারদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে জামালপুরের বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) কার্যালয়ের সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবায়দুলাহ'র বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। মসজিদের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করে বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) কায়সার আহমেদ মুন্সী জানান, টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি আমি এখানে যোগদানের আগে ঘটেছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জামালপুর বিএডিসি কার্যালয়ে কর্মরত সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবায়দুল্লাহ ২০১৮ সাল থেকে বিএডিসির আওতায় বিএডিসি সেচ কমপ্লেক্স জামে মসজিদের নামে প্রতিটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসছেন। কোনো ঠিকাদারের প্রকল্পের টাকার চেক পাস হলেই মসজিদের জন্য কিছু টাকা দিতে হয়। মসজিদের নাম করে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দান করা এসব অর্থ অতি কৌশলে আত্মসাৎ করেছেন এবায়দুল্লাহ। শুধু তাই নয়, সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার অধীনস্ত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়েও দীর্ঘদিন যাবত অনিয়ম করে আসছেন তিনি।
বিএডিসি জামালপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো. আকরামুজ্জামান জানিয়েছেন, ‘আমি কোনো এক শুক্রবারে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে স্থানীয় মুসলিরা আমাকে বলেন, সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবায়দুলাহর কাছে মসজিদের নামে দুই লাখ টাকা আছে। মসজিদের কোষাধ্যক্ষের কাছে উক্ত দুই লক্ষ অর্থ জমা না দিয়ে তিনি অনেক দিন ধরে নিতি টালবাহানা করছেন। পরে বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তবে সেই টাকা তিনি খরচ করে ফেলেছেন। এখন স্থানীয় মুসল্লিরা জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে বিএডিসির মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তারা মসজিদের টাকা ফেরত চান।’
সহকারী প্রকৌশলী (সওকা) মো. আকরামুজ্জামান আরও জানান ‘ আমি মসজিদ কমিটির মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ২০১৯ সাল থেকে সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবায়দুলাহর কাছে মসজিদের দুই লাখ টাকা আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানালে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’
এ বিষয়ে বিএডিসি জামালপুর রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) কায়সার আহমেদ মুন্সী জানান, ‘বিষয়গুলো আমি এখানে আসার (যোগদানের) আগে ঘটেছে। আমি এসে শুনেছি অফিসে এসব হয়েছে।’
এদিকে, মসজিদের এক লাখ ২০ হাজার টাকা নিজের কাছে থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত এবায়দুলাহ। আগামী ৩০ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে ওই টাকা মসজিদের কোষাগারে জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন জামালপুর নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) কার্যালয়ের সহকারী হিসাব রক্ষণ বিভাগের এই কর্মকর্তা।