ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: মোনায়েম মুন্না
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
  • ২০২৪-১২-১২ ০৫:৫৫:৩০

কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেছেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব ভারতের। তারা সে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমি তীব্র ভাবে তাদের অবহেলা এবং কর্মকান্ডের নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলাদেশকে আপনারা প্রতিবেশি রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে হবে। আমরা সুস্পষ্ট ভাবে বলতে চাই বাংলাদেশের বহিরাগত কোনো প্রভু নেই। আমরা বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিবেশিকে চিন্তা করি। ঢাকা টু আগরতলা লং মার্চ গতকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।


বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা থেকে আসা লং মার্চের গাড়ি বহর আখাউড়ায় প্রবেশ করে। তবে যানজটের কারণে সব গাড়ি বন্দর এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি। এর আগে সকাল থেকে অন্তত ১৫টি জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ আখাউড়া আসতে থাকেন। দুপুরে বন্দর এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। আগরতলা সহকারী হাই কমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা, মিডিয়ায় অপপ্রচার, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল বুধবার এ লং মার্চ কর্মসূচির আয়োজন করে।


মোনায়েম মুন্না বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য দেশের জনগণ যে কোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত আছে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন। আমাদের কাছে বাংলাদেশই প্রথম। বাংলাদেশ আমাদের প্রাণের স্পন্দন। স্বাধীনতাযুদ্ধ করে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাইনা। তিনি আরও বলেন, আমরা অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনার জন্য অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা ভারত সরকারকে বলেন শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদেরকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। এদেশে আওয়ামীলীগের কোনো অস্তিত্ব নেই। এ দেশের মানুষ ভারতের আগ্রাসী মনোভাব মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ। ভারতে বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানোর সময় সেখানে পুলিশ ছিলো নীরব। আবার যদি পতাকা অবমাননা হয় তাহলে আমরা এর কঠোর জবাব দিবো। তারা প্রতিবেশী দেশ। কিন্তু বন্ধু হতে পারেনি। তারা তিস্তার পানি না দিলেও ফেনী নদী থেকে নিয়ে গেছে। তারা পররাষ্ট্রনীতি কী হবে শেখায়, আগে তাদের জাহাজ ভিড়তে দিতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকে তারা শোষণ করে। আমরা জামদানি পাঠাই, ইলিশ পাঠাই। তারা ফালানির লাশ দেয়। সব ধরণের ষড়যন্ত্র বন্ধে ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।


কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম. জিলানীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ। লং মার্চকে ঘিরে সীমান্ত এলাকায় ছিলো কড়া নিরাপত্তা। কাস্টমস এলাকা পর্যন্ত লোকজনকে আটকে দেয় আইনশৃংখলাবাহিনী। আখাউড়া স্থলবন্দরে গ্রাম পুলিশ, থানা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী