ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সুপারভাইজার কিরণ মোল্লার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আজ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে পৌরসভার সংরক্ষণ শাখা ও অন্যান্য শাখার কর্মীরা। আজ রবিবার সকাল ১০টায় পৌরসভা অফিসের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে মঠের গোড়া হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. মোতালেব মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী কমরেড নজরুল ইসলাম, পৌর পানি সরবরাহ শাখা কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সংরক্ষণ শাখার টিম লিডার দোলোয়ার হোসেন দিলু। শিবচরণ বিশ্বাস-এর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. এমরান হোসেন, মো. খালেদ মিয়া, মো. তাজুল ইসলাম, মো. মনির হোসেন, মোহাম্মদ খা, মিলন খাঁ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। সামান্য কারণে তাদের উপর অনেক সময় মারধরের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার বিচার হয় না বলেই শহরের বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতিকারীরা একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে সংরক্ষণ সুপারভাইজার কিরণ মোল্লার উপর হামলাকারী শহরের কাউতলী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ রাজিব (২৫) তানিম (৩০) ও সাইদুল (২৮) গংদের দ্রæত গ্রেপ্তার ও শাস্তির জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। সমাবেশ বলেন- আগামী তিন দিনের মধ্যে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করা হলে সমগ্র পৌরসভায় ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম থেকে কর্মবিরতি দেবে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। কারণ জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করতে রাজি নয় তারা।
উল্লেখ্য গত ০১ ডিসেম্বর দুপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে কাউতলী যায় কিরণ মোল্লা। এ সময় কাউতলী স্টেডিয়ামের গেটের উত্তর পাশে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসী রাজিব ও তার সহকারীরা কিরণ মোল্লার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র, দা ও চা চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে কিরণকে জখম করে। কিরণ মোল্লার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। যাবার সময় তার কিরণ মোল্লার মোবাইল ও নগর টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এলাকাবাসীর কিরণ মোল্লাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রæত তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করে। কিরণ মোল্লার শরীরে শতাধিক সেলাই দিতে হয়েছে। তার জীবন এখনো শঙ্কা মুক্ত নয়। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।