দিনাজপুরে বিএডিসি'র সার নিয়ে তুঘলকি কারবার শুরু হয়েছে। সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক। এতে আলু,ভুট্রা,ধান,গম,ডাল,সরিষা,সব্জিসহ চলতি রবি মৌসুমের ফসল চাষাবাদে নিয়ে কৃষক দু:চিন্তায় পড়েছে। অধিক মূল্য দিয়েও সার সময় মতো না পাওয়ায় চাষাবাদে বিঘ্নতা সৃষ্টি হচ্ছে।
ডিলাররা বলছেন, এপরিস্থিতি জন্য বিএডিসি'র দিনাজপুর অঞ্চলের সার এর দায়িত্বে কর্মরত যুগ্ম পরিচালক মোহা: শওকত আলী দায়ি। তার অনিয়ম,দূর্নীতি আর ঘুষ বাণিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট। উৎকোচের টাকা গ্রহণ সংক্রান্ত তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এই কর্মকর্তা সরকারি দপ্তরটিকে এখনো আওয়ীলীগের কার্যালয় বানিয়ে রেখেছেন। তার কক্ষের বাথরুমের পাশে গড়ে তুলেছেন গোপন প্রমোদ কক্ষ। খাট-পালং,সোফা রয়েছে সেই কক্ষে। সেখানে নেশা পানসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘটিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সার ডিলার এবং অফিসের নিন্ম পদবী লোকজনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত উগ্রতা ও খারাপ আচরণ করে আসছেন। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ডিলাররা বিএডিসি'র পূর্ববর্তী ও বর্তমান চেয়ারম্যানকে পৃথকভাবে দুইটি অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু,এতে কোন প্রতিকার পায়নি তারা। বরং আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন,যুগ্ম পরিচালক মোহা: শওকত আলী। তিনি এখন যা ইচ্ছে,তাই করছেন। ডিলারদের সার সরবরাহে আরো অনিয়ম ও দূর্নীতি বেড়েছে তার। ইচ্ছে করেই ডিলারদের হয়রানী করছেন,এমন অভিযোগ অনেকের।
২ নভেম্বর দিনাজপুরে সফরে আসা বিএডিসি'র চেয়ারম্যান রুহুল আমিন খানের হাতে দেয়া ডিলারদের অভিযোগ পত্রে উল্লেখ রয়েছে,ডিলারদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে উৎকোচ নিচ্ছেন তিনি। ডিও,ডেলিভারি অর্ডার, চালান সই ( সারের ইন ভয়েস),গুদাম বা অবকাঠামো ( সীমানা প্রাচীর) নির্মাণ,ক্রয় থেকে শুরু করে সর্বত্রই তিনি দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিচ্ছেন। ডেলিভারি অর্ডারে স্বাক্ষর করার সময় টাকা না দিলে তার ইচ্ছে মতো দূরবর্তী গুদাম থেকে সার উত্তোলনের বরাদ্দ দিচ্ছেন।
বিভিন্নভাবে হয়রানির ভয় দেখিয়ে ডিলারের কাছ থেকে নগদ অর্থ এবং বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে তার নিজ মোবাইল নাম্বারে উৎকোচ গ্রহণ করে আসছেন।
সারের গুদাম গুলো থেকে সার সরবরাহের সময় তার নির্ধারিত ব্যক্তির মাধ্যমে যুগ্ম পরিচালক শওকত আলী ডিলারদের কাছ থেকে প্রতিবস্তা তিউনেশিয়ে টি এসপি সারে ৮০টাকা থেকে ১০০টাকা, চায়না ডিএপি সারে ৬০টাকা থেকে ৮০টাকা এবং কানাডা এমওপি সারে ২০টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। কোন ডিলার নির্ধারিত পরিমাণ টাকা অস্বীকৃতি জানালে তাকে ( ডিলার) সার দেওয়া বন্ধ করে দিচ্ছেন। আবার কোন গুদাম রক্ষক উক্ত টাকা ডিলারের কাছ থেকে উত্তোলনে অস্বীকৃতি জানালে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হয়রানি করে আসছেন। অফিস চলাকালীন সময়ে অফিস রুমে ধুমপান করে থাকেন শওকত আলী। অফিস চলাকালীন সময়ে তার কথাবার্তা আচার-আচরণ দেখে মনে হয় তিনি নেশা করে এসেছেন। তার নির্দেশনায় ভুয়া বিল ভাউচার ও কোটেশন দেখিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে মোট অংকের টাকা।
বিভিন্ন সার গুদামে সার আনলোড করার জন্য লেবার সর্দারের কাছে থেকে জোরপূর্বক উৎকোচ নেন তিনি। উৎকোচ না দেওয়ায় ইতিপূর্বে বিভিন্ন সার গুদামের সার সরবরাহ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিলেন। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে লেবার সর্দারা উৎকোচ প্রদানে রাজি হয়।
ডিলারদের সামনেই নিজ অফিস স্টাফদের অশ্লীল ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আসছেন।
চলতি রবি মৌসুমে বিএডিসি -দিনাজপুর অঞ্চলে ৩১ হাজার ১৯০ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ করেছে সরকার। এরমধ্যে টিউনেশিয়া-টিএসপি ( কালো) ৫ হাজার ৮৯৮ মে.টন, পটাশ-এমওপি ১০ হাজার ৬৩৫ মে.টন এবং ডেপ-ডিএপি ১৪ হাজার ৬৫৭ মে.টন সার রয়েছে। ১০ টি গুদামে মজুদ এসব সার এ অঞ্চলের বিএডিসি'র নিয়োগ করা ৩০০ জন ডিলারের মাধ্যমে কৃষকের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়ার কথা। কিন্ত, ডিলাররা সময় মতো সরবরাহ না পাওয়ায় এসব সার কৃষদের মাঝে পৌঁছে দিতে পারছেন না। ফলে অধিক মূল্য দিয়েও সময় মতো সার না পেয়ে চাষাবাদ করতে পারছেন না কৃষক। অগ্রহায়ণ মাসের শেষে এসেছে এখনো অনেক কৃষক আলুর বীজ রোপণ করতে না পেরে দু:চিন্তায় পড়েছেন।
জেলায় চলতি মৌসুমে ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা কৃষি বিভাগ নির্ধারণ করলেও অর্ধেক জমিতে আলু বোপণ করা সম্ভব হয়নি এখনো। জেলায় এবার সাড়ে ১১ লাখ মে.টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এপরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ভেস্তে যাওয়ার আশংকা করছেন,কৃষিবিদরা।
চলতি মৌসুমে জেলায় এক লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ জন্য ৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা বোপণের প্রয়োজন। কিন্তু, সারের সংকটে এখনো বীজতলা বোপণ করছে না কেউ। ভুট্রা,সরিষা ডাল এবং গমের ক্ষেত্রেও সৃষ্ট হয়েছে একই পরিস্থিতি। সার সংকটে অসংখ্য জমি পড়ে আছে অনাবাদি অবস্থায়।
শনিবার ( ৭ ডিসেম্বর) সকালে সরজমিনে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ছেতরা চাপুয়া এলাকায় আলু চাষে জমি প্রস্তুতকারি এবং আলু রোপণকারি কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
কৃষক মোবারক হোসেন জানালেন, 'অধিক টাকা দিয়াও সার পাওয়া যাছে না। কিভাবে হামরা ( আমরা) জমি আবাদ করিমো ? হামার ( আমার ) কৃষকের অবস্থা শেষ! হামাঘরে ( আমাদের) বাঁচার দরকার নাই। মারি ( মেরে) ফেলাও হামাক! '
পাশে রোপণে ব্যস্ত কৃষক কুদ্দুস ক্ষোভের সঙ্গে জানালেন, ' শালার কোন সরকারেই ভালো নাহায় ( নয়)। হামাঘরে মারি ফেলাছে। কৃষকের কোন দাম নাহি! টাকা দিয়াও ( দিয়ে) সার পাওয়া যায় না। হামরা আবাদ করিমো ক্যামন করি? এইবার তিন বিঘা মাটিত ( জমি) আলু লাগাবার কাথা ( কথা) কিন্তু এখনো এক বিঘা মাটিত আলু ওজিবার ( আবাদ) পারো নাই। এই আইজ ( আজ) লাগাবা ধনু ( লাগাতে শুরু)। ক্যামন করি- হামরা বাঁচিমো বাহে! তোমাক ( তোমাদের) কহি কী লাভ হবি ( হবে)? '
বোচাগঞ্জ উপজেলার মাহেরপুর এলাকার কৃষক মতিউর রহমান জানালেন,তিনি আড়াই বিঘা জমিতে ভুট্রা আবাদ করবেন। কিন্তু সারের জন্য এখনো পিছিয়ে আছেন। জমি পড়ে আছে অনাবাদি অবস্থায়।
পাশে বোরো রোপা বীজতলা তৈরিতে জমি প্রস্তুতকারি কৃষক অতুল মোহন্ত জানালেন, 'সার ঠিকমত পাওয়া যায় না বাপু। সার বিনাকরে ( না থাকায়) এইবার, আলু,মুগ ডাইল আর সরিষা লাগাবা পারোনাই। জমি এলাও ( এখনো) পড়ি আছে। কী করিমো হামরা- টাকা দিয়াও সার মিলেছে নাই! '
খানসামা পাকেরহাট এলাকার কৃষক দেলোয়ার হোসেন জানালেন,তার জমি আবাদের জন্য যে সার প্রয়োজন তার সিকি পরিমান সার তিনি এখনো সংগ্রহ করতে পারেননি। টাকা দিয়েও তিনি সার পাচ্ছেন না। ফলে তার অধিকাংশ জমি পড়ে আছে অনাবাদি অবস্থায়।
এ ব্যাপারে বেশ কয়েকজন সার ডিলারের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।খানসামায় উপজেলার বিএডিসি'র সার ডিলার আব্দুল ওয়াহেদ জানালেন, সারের যুগ্মপরিচালম শওকতের কারণে আজ দিনাজপুর অঞ্চলে কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ঠিকমতো সার সরবরাহ না পাওয়ায় কৃষকের দ্বারপ্রন্তে সার পৌঁছাতে পারছিনা। তিনি ( শওকত) টাকা এবং আওয়ামীলীগ ছাড়া কিছুই বুঝে না। আওয়ীলীগের লোক হলে অনেক কিছুই ছাড়। আর বিএনপি বা জামায়াতের লোক ( ডিলার) সন্দেহ হলে তাকে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছেন তিনি। তার নির্ধারিত ঘুষের টাকা দিয়েও অনেকে ঠিকমত সার সরবরাহ পাচ্ছেনা। তার ইচ্ছেমতো হয়রানী করছেন তিনি।
তিনি মুলত: কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে বর্তমান সরকারকে বেহায়দায় ফেলতে চাইছেন। তার অফিসে গিয়ে এমনি পরিস্থিতি দেখা গেছে। তিনি অফিসে অধিকাংশ সময় আওয়ীলীগ ঘরোনা লোকজন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। অফিস কক্ষের নিজ চেয়ারে বসে সিগারেট এবং নেশা পান করেন। এমন দৃশ্য দেখে আমি প্রতিবাদ করায় তিনি আমার সঙ্গে খারপ আচরণ করেছেন। যা তার অফিসের অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছেন।'
হাকিমপুর উপজেলার সার ডিলার আহসান হাবিব জানায়, বিএডিসি'র যুগ্মপরিচালক (সার) শওকত আলী আমাদের প্রতিনিয়ত হয়রানী করে আসছেন। বস্তাপ্রতি নির্ধারিত ঘুষের টাকা নিয়েও তিনি আমাদের ঠিকমতো সার সরবরাহ করছেন না।
এনিয়ে পূর্বের এবং ববর্তমান বিএডিসি'র চেয়ারম্যানকে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।কিন্তু এখনো তার ( শওকত) বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি বরং আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এখন মনে যা চাইছে,তিনি তাই করছেন। আমরা এনিয়ে মহা বিপাকে পড়েছি। না পারছি,নিয়ম মাফিক সার উত্তোলন করতে না পারছি কৃষকের ঠিকমতো সার সরবরাহ দিতে। আমরা আর কার কাছে এই বিচার দিবো? কী করবো-! তা ভেবে উঠতে পারছিনা।'
বীরগঞ্জের সার ডিলার সিদ্দিক জানান,আমাদের অযথা হয়রানী করে আসছেন যুগ্মপরিচালক শওকত সাহেব। আমরা যখন সারের মেমো কাটতে যাই,তখন তিনি আমাদের (ডিলারদের) নির্দিষ্ট গুদাম থেকে সার সরবরাহ না দিয়ে দূরত্বের গুদাম থেকে সার নিতে বলে। কারণ,এতে আমাদের পরিবহণ খরচ বেড়ে যাবে জেনে যাতে আমরা ভয়ে উৎকোচ দিয়ে সার সরবরাহ নিতে বাধ্য হই। শুধু তাই নয়, তার অবৈধ দাবি পূরণ করতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আমাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও লাঞ্ছিত করে আসছেন।
আমরা এর প্রতিকার চেয়ে আমরা বিএডিসি'র পূর্বের এবং বর্তমানের দুই চেয়ারম্যান মহোদয়কে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এ পর্যন্ত কোন প্রতিকার হয়নি। তিনি বরং আমাদের বলেছেন,তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোন লাভ নেই। তিনি সকলকে ঘুষের টাকা ভাগ দেন। বর্তমান চেয়ারম্যান সাহেবের স্ত্রী নাকি তার বান্ধবি। অভিযোগ করে নাকি তার লাভ হয়েছে। তিনি প্রমোশন পাচ্ছেন। এসব প্রকাশ্য বলছেন তিনি। তার অনিয়ত, দূর্নীতি আর অত্যাচার এখন আরো বেড়ে গেছে।'
বিএডিসি'র বীজ ডিলার এসোসিয়েশন এর সভাপতি লিয়াকত আলী বেগ লিটন বলেন, বিএডিসির যুগ্মপরিচালক ( সার) মোহা. শওকত আলী শুধু সার কেলেঙ্কারিতে সংশ্লিষ্ট নয়,তিনি এই দপ্তরটিকে অনিয়ত আর দূর্নীতির আখড়ায় রূপান্তর করেছেন। পার্বতীপুর পিএফজি সার গুদাম এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গুদাম এবং এক কোটি ৫৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে পুকুর চুরির আশ্রয় নিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে আতাঁত করে পূর্বের পুরনো প্রচীরের মধ্যেই ইট দিয়ে নতুন প্রাচীর তুলে সিংহভাগ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন। বিরামপুর উপজেলায় বিএডিসি'র গুদামের উদ্ধারকৃত জমির কিছু অংশ অন্যের দখলে দিয়ে মোটা অংকের টাকা নাজরানা নিয়েছেন। এজন্য বিএডিসি'র দায়ের পূর্ববর্তী যুগ্মপরিচালকের দায়ের করা মামলাটি পরিচালনা না করে ঘুমিয়ে পড়েছেন। ফলে ওই জমি এখন অন্যের দখলে চলে গেছে।'
এ ব্যাপারে বিএডিসি দিনাজপুর অঞ্চলের যুগ্মপরিচালক (সার) মোহা. শওকত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে বলেন,তার বিরুদ্ধে উপস্থাপিত সব অভিযোগ মিথ্যে। সারের বস্তাপ্রতি যে টাকা নেওয়া হয়- তা লেবারদের জন্য নেয়া হয়। পার্বতীপুর পিএফজি সার গুদাম এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণে যা অনিয়ম হয়েছে,এজন্য তিনি দায়ি নয়।দায়ি বিএডিসি'র ক্ষুদ্রসেচ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দা সাবিহা জামাল। কারণ, তিনি এই প্রকল্পের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। কোন অনিয়ম বা দূর্নীতি হলে তিনি করেছেন।
তার নিজ অফিস কক্ষের বাথরুমের ভেতরে গোপন কক্ষ এবং সেখানে খাট-পালং ও সোয়া স্থাপনের বিষয়ে তিনি জানান,বিএডিসি'র সব অফিসে এমন কক্ষ রয়েছে। এটা তিনি একা করেননি। এটার জন্য বিএডিসি'র প্রকল্প পরিচালক ( পিডি) মজিবর রহমান সবুজ ( তার বন্ধু) অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। এটি রেস্ট হাউজ হিসেবে তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।'
বাথরুমের ভেতর গোপন কক্ষ নির্মাণের বিষয়ে বিএডিসি'র প্রকল্প পরিচারক ( পিডি) মজিরব রহমান সবুজের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। আমি দিনাজপুর গেলে আমাদের নশিপুর বা বীজ প্রক্রিয়ার রেস্ট হাউজে উঠি। ওখানে কখনো উঠিনি। তা ছাড়া অফিস কক্ষে বাথরুমের ভেতরে গোপন কক্ষ তৈরি বা রাখার কোন প্রশ্নই ওঠে না। আমরা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি তার ( যুগ্মপরিচালক) অফিস এর ছাদ মেরামতের জন্য।