বিশ্বের যেকোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অনেক নিরাপদ ও সম্মানের সাথে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি কঠিন সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। কারণ হিন্দুত্ববাদী ভারত কোনোদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। মহান জুলাই বিপ্লবে বাংলাদেশ প্রকৃত স্বাধীনতা লাভের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের পতনের সাথে সাথে ভারতের হেজেমনিরও পরাজয় শুরু হয়েছে। আর এটা মেনে নিতে না পেরে ভারত ৫ই আগস্টের পর থেকে নানা ষড়যন্ত্র করছে। বর্তমানে তারা সংখ্যালঘু কার্ড ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টা করছে। অথচ এদেশের সংখ্যালঘুরা অনেক নিরাপদে আছে। এদেশের আলেম থেকে শুরু করে সংখ্যাগরিষ্টরা সবসময় তাদেরকে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। উল্টোদিকে ভারতের সাধুরা মুসলিমদের হত্যার দাবী করে। এই হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য। তিনি আজ সোমবার বিকেলে শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে ঐতিহাসিক শহীদ বাবরী মসজিদ দিবস উপলক্ষে আয়োজতি প্রতিবাদী কনফারেন্সে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে অবস্থিত হিন্দুরাও এদেশেরই নাগরিক এবং তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে মুসলমানদের প্রকৃত কর্তব্য। তাই বাংলাদশের হিন্দুদের দিকে না তাকিয়ে ভারতে মুসলিমদের দিকে মোদিকে নজর দিতে বলেন।
তিনি বলেন ভারতে প্রতিনিয়ত মুসলিম নির্যাতনসহ মসজিদ ধ্বংস করা হচ্ছে। যারা নিজের দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে তাদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে কথা বলার। তিনি ভারত তথা সমগ্র বিশ্ব মুসলিমদের নির্যাতন নীপিড়নের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এদেশের তৌহিদি জনতা ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করে ভারতীয় হেজেমনিকে উৎখাত করেছে। তারা আর কোনোদিন ভারতীয় হেজেমনি বা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে এদেশে প্রত্যাবর্তন করতে দিবেনা। কারণ ছাত্র-জনতা জানে কিভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করতে হয়।
সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় বিষয়ে বিভাজন থাকতে পারে কিন্তু দেশের স্বার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তাহলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে পারবেনা। যদি ফাটল থাকে তাহলে ফ্যাসিবাদ আবারো প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করবে।
যুব ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব সাজিদুর রহমান। জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী মোবারককুল্লাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামে যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আতাউল্লাহ ইসলাম।