রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুরে দাবীকৃত ৮ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ১১জন আহত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের পাঠান পাড়ার খন্দকার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার পর পরিবারটি অন্য সদস্যরা হামলার ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন।
হামলায় আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সুহিলপুর গ্রামের খন্দকার বাড়ির নজরুল খন্দকার বাড়ি নির্মান করতে গেলে একই এলাকার জুলকান বাধাঁ প্রদান করে। বিভিন্ন সময় লোকজন নিয়ে নির্মানাধীন কাজে বাধা প্রদান ও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। পরে বাড়ির কাজ করতে হলে ৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে জুলকান। এ ঘটনায় ৪ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় চাঁদা দাবীর ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এর জের ধরে গত শনিবার বিকেলে বাড়িতে হামলা চালিয়ে নির্মানাধীন বাড়ির দরজা-জানালা ভাংচুর চালানো হয়। গতকাল সকাল প্রায় ৯টার দিকে জুলকানের নেতৃত্বে ১৫/২০ লোকজন লোক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে নজরুল খন্দকারের বাড়িতে হামলা চালায়। তাদের হামলার মামুন খন্দকার (৫৫), বুলবুল খন্দকার (৪৭), মাসুম খন্দকার (২২), ইসরাত জাহান (৩৮), সোমা বেগম (৩৫), পায়েল খন্দকার (৩৫), শফিক (৪০), মাহিন খন্দকার (১৬), ইফরান খন্দকার (২০), পাভেল খন্দকার (৩০), রুনা বেগম (৪০) আহত হয়। গুরুতর আহত মামুন খন্দকার ও বুলবুল খন্দকারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন জানান, হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।