করোনা সংক্রমণের কারণে স্কুল বন্ধ। এদিকে বাইরেও যাওয়া যাচ্ছে না। লকডাউনে ঘরে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে উঠেছে অনেক শিশু। কারো কারো অনলাইন ক্লাস চললেও অনেকেরই সেই সুযোগ নেই।
যেহেতু শিশুরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের ওপর নির্ভরশীল এ কারণে এই সময় ছোট শিশুদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে বাবা-মাকেই তাদেরকে সহযোগিতা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময় তাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বজায় রাখতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১.শিশুদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে তাদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন।
২. শিশুর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
৩.একাধিক সন্তান থাকলে প্রতিটি সন্তানই যে আপনার কাছে বিশেষ, এটা তাকে বুঝিয়ে দিন।
৪. শিশুর সঙ্গে কথা বলুন। তাকে নিয়ে বই পড়ুন। তাকে নিয়ে গান গাইতে বা শুনতে পারেন।
৫. কিছু কাজ তাকে একা একা করতে দিন। তাকে খেলাধূলা করতে উৎসাহিত করুন।
৬. শিশুর ঘুমের একটা রুটিন তৈরি করুন। যাতে সে একটা নির্দিষ্ট সময় ঘুমায় ও উঠে সেটা নিশ্চিত করুন।
৭. শিশুকে একটা শৃঙ্খলিত জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করুন।
৮. শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকলে শিশুর মনোযোগ, চিন্তা করার ক্ষমতা, ভাষা শেখা ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়বে। সেজন্য দিনে ১৫ মিনিট ব্যায়াম করলেও তার উপকার হবে।
৯. বিভিন্ন ধরনের বোর্ড গেম শিশুদের মনোযোগ, একাগ্রতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে হতাশা দূর করতে সাহায্য করে। পারলে ঘরে এ ধরনের খেলার আয়োজন করুন।
১০. শিশুদের সঙ্গে প্রতিদিন তার দিনের কাজ নিয়ে কথা বলুন। এতে তার যোগাযোগের দক্ষতা তৈরি হবে।
১১. শিশুদের ভাবনা, কথা শেয়ার করার সুযোগ দিন। একসঙ্গে পরিবারের সবাই খেতে বসে তাদের কথা শুনুন।
১২. শিশুদের আঁকাআকিতে উৎসাহ দিন। পারলে রঙিন কাগজ এনে তাদেরকে ঘর সাজাতে অনুপ্রাণিত করুন। ঘরে গাছ লাগানোর সুযোগ থাকলে তাতেও শিশুদের যুক্ত করুন। এতে তাদের সৃজনশীল কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
১৩. বয়স অনুযায়ী শিশুদের স্ক্রিন দেখার সময় সীমিত করুন।
১৪. বয়সভেদে শিশুদের নানারকম মুভি দেখা, ভিডিও গেম দেখতে সহযোগিতা করুন। এতেও তাদের মস্তিষ্ক উন্নত হবে।