ঝালকাঠির রাজাপুরের বাগড়ি বাঁশতলা এলাকার খুলনা-বরিশাল মহাসড়কে কালভার্টের মুখ আটকিয়ে স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী আগুন ফার্নিচারের মালিক কবির হোসেন ভবন নির্মান করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করেছেন যাওয়ায় ওই এলাকার ২ শতাধিক কৃষক। এ ছাড়া চাষের মৌসুমে ওই এলাকার চাষিদের পানি সংকট ও বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবার আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসি।
কৃষকরা জানান, কাঠ ব্যবসায়ী আগুন ফার্নিচারের মালিক কবির হোসেন ওই এলাকার শামসুদ্দিন মৃধার কাছ থেকে ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। কিন্ত ওই জমির পশ্চিম পাশে র্দীঘদিনের মহাসড়কে থাকা কালভার্টের পূর্ব পাশের মুখ বালু ফেলে ভরাট করে ভবন নির্মাণ করছেন ওই ব্যাবসায়ি। এতে করে দুই পাশের ৩শ একরেরও বেশি জমির ২ শতাধিক কৃষকর চাষেবাদে পানির সমস্যায় পরবে।
এ বিষয়ে জমির মূল মালিক শামসুদ্দিন মৃধা জানান, জমি বিক্রি করার সময় কবিরকে রাস্তা থেকে ১০ ফুট রেখে বালু ফেলতে বললেও সে কোন জায়গা না রেখে বালু ফেলেছে, তাতে ব্রীজের মুখ আটকে গেছে। ওখান থেকে পানি যাওয়ার নালা আগেই ভরাট হয়ে গেছিলো। ব্রীজের দুপাশের জমিই তার, ওখানে কোন রেকর্ডীয় খাল নেই।
অভিযোগের বিষয়ে কাঠ ব্যবসায়ী আগুন ফার্নিচারের মালিক কবির হোসেন জানান, কোন সরকারি জমি ভরাট করা হয়নি। ক্রয়কৃত জমিতে বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে, তাতে ব্রীজের মুখ ভরাট হয়ে গেছে। বিষয়টি ইউএনও দুইবার এসে দেখেও গেছেন।
জানতে চাইলে ইউএনও রাহুল চন্দ জানান, দুইবার ওখানে গিয়ে ব্রীজের মুখ খুলে দিতে বলা হয়েছে। কোনভাবেই পানির প্রবাহ বন্ধ রাখা যাবে না বলে তাদের স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে। ব্রীজের মুখ খুলে না দিলে, পানির প্রবাহ স্বাভাবিক করে না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।