ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
'মওলানা ভাসানী প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন'
  • মজিবুর রহমান খান:
  • ২০২৪-১১-১৭ ০৭:২৫:০০

মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে‘ আসসালামু ওয়ালাইকুম’ বলার মধ্য দিয়ে ভাসানীই প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে মওলানা ভাসানী যথাযথ ভাবে মূল্যায়িত হয়নি। বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতে রাষ্ট্রীয় অতিথির অন্তরালে অন্তরীণ থাকায় তিনি তার ইচ্ছানুযায়ী মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখতে পারেননি। সেজন্য তারমধ্যে আজীবনই দুঃখবোধ কাজ করেছে। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ভাসানী ঠিকই বুঝেছিলেন যে, এ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হবে ঠিকই কিন্তু মানুষের মুক্তি আসবেনা। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও এ দেশের মানুষের মুক্তি আসেনি দেশীয় এবং সা¤্রাজ্যবাদী শোষণ থেকে। ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মওলানা ভাসানী আজও বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক। গতকাল রবিার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ভাসানী চর্চা কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়োজিত মওলানা ভাসানীর মৃত্যু বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।


ভাসানী চর্চা কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংগঠক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর এর সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোঃ জামাল। ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের আরেক সংগঠক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসিরের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর অমৃত লাল সাহা, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের জেলার সরাইল উপজেলার সভাপতি অধ্যাপক জাফর আহমেদ আকসির, জেলা এনডিএফ নেতা ইয়াকুব আলী, জেলা বিপ্লবী কমিউিনিষ্টলীগ নেতা পবিত্র দাস, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির প্রমুখ।


বক্তারা বলেন, ভাসানী আজীবন লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য। এ লড়াই এখনো চলছে। এ লড়াইকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে হলে অবশ্যই ভাসানী অনুসারীসহ বাম প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবব্ধ হয়ে লড়াই সংগ্রাম সংগঠিত করতে হবে। এর কোন বিকল্প নাই। সভায় সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে বক্তারা আরও বলেন, মানুষ যে আকাঙ্খা নিয়ে গণঅভ্যূত্থানে অংশ গ্রহণ করেছিলেন অন্তবর্তী সরকারের কর্মকান্ডে তেমন আশার আলো দেখতে পাচ্ছেননা। তাই গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনা থেকে বিচ্যুত হলে দেশ আরও ভয়াবহ সংকটের দিকে ধাবিত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে এ মুহুর্তে দেশ প্রেমিক বাম প্রগতিশীল শক্তিকে সতর্ক দৃষ্টিতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনে আত্মনিয়োগের জন্য অভিমত ব্যক্ত করেন।

শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী