পৃথিবীব্যাপী তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে প্রাণঘাতি করোনার। যাতে গত একদিনেও প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে প্রাণহানির সংখ্যা ১০ লাখ ৬৬ হাজার পেরিয়েছে। নতুন করে প্রায় সাড়ে তিন লাখ করোনা রোগী শনাক্ত হলেও ভাইরাসটি থেকে বেঁচে ফেরার সংখ্যা অর্ধকোটি ছাড়িয়েছে।
বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৩০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ ঝরেছে ৬ হাজার ৪২৪ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৪১২ জনে ঠেকেছে।
অন্যদিকে গত একদিনে সুস্থতা লাভ করেছেন ২ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি রোগী। এতে করে করোনামুক্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার ১৭৮ জনে পৌঁছেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম মানবদেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর দেশটিতে এ ভাইরাসে অস্বাভাবিকভাবে প্রাণহানি ঘটে। এর পরপরই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপের দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ মাত্রা ছাড়ায়। সে সব দেশে করোনা ভাইরাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে এখনও ক্রমশ বেড়েই চলছে কোভিড-১৯ ভাইরাসে প্রাণহানি। ১১ মার্চ করোনাকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে এখন পর্যন্ত ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৩ জন মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৭৩৮ জনের।
সংক্রমণের নিরিখে দুইয়ে থাকা ভারতে গত একদিনেও প্রায় ৭১ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ লাখ ৩ হাজার ৮১২ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১ লাখ ৬ হাজার ৯৬৭ জনের।
প্রাণহানির তালিকায় দুই নম্বরে অবস্থান করা ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০ লাখ ২৯ হাজারের বেশি। প্রাণহানি বেড়ে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৪ জনে ঠেকেছে।
এছাড়া পৃথিবীর বৃহত্তম দেশ রাশিয়ায় সংক্রমণের হার আগের মতোই। যেখানে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ১২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৫৬ জনে।
কলম্বিয়ায় শনাক্ত ৮ লাখ ৮৬ হাজারের অধিক। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৩৩১ জনের।
স্পেনে আক্রান্ত ৮ লাখ ৮২ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রাণ গেছে ৩২ হাজার ৬৮৮ জনের।
আর্জেন্টিনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৮ লাখ ৫৬ হাজার পেরিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৭১০ জনের।
পেরুতে আক্রান্ত ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৪ জন। যেখানে মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৯৮ জনে ঠেকেছে।
উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোয় আক্রান্ত ৭ লাখ ৯৯ হাজারের বেশি। সেখানে প্রাণ গেছে ৮২ হাজার ৭২৬ জন মানুষের।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৬ লাখ ৮৭ হাজার ছুঁই ছুঁই। মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৪০৮ জনের।
ফ্রান্সে করোনার ভুক্তভোগী ৬ লাখ সাড়ে ৭১ হাজার। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৩২ হাজার ৫২১ জনের।
যুক্তরাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা ৫ লাখ ৬২ হাজারের কাছাকাছি। যেখানে প্রাণ ঝরেছে ৪২ হাজার ৫৯২ জন ভুক্তভোগীর।
ইরানে করোনার শিকার ৪ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি মানুষ। প্রাণহানি ঘটেছে ২৭ হাজার ৮৮৮ জনের।
চিলিতে সংক্রমিত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ১৬ জন মানুষ। এর মধ্যে ১৩ হাজার ১৬৭ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।
ইরাকে ভাইরাসটির ভুক্তভোগী ৩ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৯ হাজার ৬৮৩ জনের।
এদিকে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯২ জন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৫ হাজার ৪৬০ জনের।