গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন বিএনপি নেতা শেখ মো. আইয়ুবুর রহমান। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাধারণ ও দেবগ্রামের বাসিন্দা। গণসংযোগের একটি ছবি তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়। গত বুধবার পুলিশের অভিযানে দেবগ্রামের এক আওয়ামীলীগ নেতা আটক হলে পুরাতন ছবিটি আবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি নেতা শেখ আইয়ুবুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এর ব্যাখ্যা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে শেখ আইয়ুবুর রহমান উল্লেখ করেন, তিনি উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। পর্যায়ক্রমে উপজেলা যুবদলের সভাপতি এবং সর্বশেষ ২০১২ পর্যন্ত উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া জেলা বিএনপি’র নির্বাহী সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে পেশাগত ব্যস্ততার কারণে দলকে সে ভাবে সময় দিতে পারেননি। তাছাড়া গত ১৫ বছর ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের আমলে দমন পীড়নের কারণে দলীয় কর্মকান্ড করাও কঠিন ছিল। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জেল জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে দাবী করেন তিনি।
আওয়ামীলীগ প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নেয়া প্রসঙ্গে শেখ আইয়ুবুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘ দিন দেবগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। দেবগ্রাম স্কুলকে সরকারি করণে সহযোগিতা করেন তৎকালীণ আইনমন্ত্রী। গ্রামবাসীর চাপে একদিন আনিসুল হকের প্রচারণায় যাই। আমার অনিচ্ছা সত্বে প্রচারণায় ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে। একটি কুচক্রি মহল আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অবদানকে ছোট করতে এবং দলের কাছে আমাকে বিতর্কিত করে ফায়দা হাসিল করতে মাঝে মাঝে ওই ছবিটি প্রকাশ করে। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি আইনমন্ত্রীর প্রচারণায় অংশ নেয়ার জন্য আমি অনুতপ্ত ও দু:খ করছি। আমি বিএনপিতে ছিলাম, বিএনপিতেই আছি।