ঝালকাঠির নলছিটিতে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে চালু হয়েছে কৃষকের পন্যে ভোক্তার বাজার স্বস্তি। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলা চত্বরে এর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) মো. নজরুল ইসলাম।
এ সময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পন্য বিক্রির জন্য স্বস্তির বাজারে নিয়ে আসেন। যা ছিলো চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তাই যে সকল ক্রেতারা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে তুলনামূলক কমদামে শাক সবজি ক্রয় করতে পেরেছেন তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কৃষকের নিয়ে আসাা পন্য ক্রেতার তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় অনেক ক্রেতাই ক্ষোভ প্রকাশ করে নলছিটির নিয়মিত বাজার থেকে নিজেদের চাহিদা মতো বাজার করেছেন। একজন ক্রেতা নলছিটি শহরের সাইফুল্লাহ বলেন, স্বস্তির বাজারে এসে স্বস্তি পেলাম না তাই পুরাণ বাজাওে যাচ্ছি বাজার করতে। স্বস্তির জাজার ঘুরে দেখা গেছে ডিম এবং গ্রাম কৃষদের নিয়ে আসা শাক-সবজির দাম বাজারের তুলনায় কম। এছাড়া অন্যান্য পন্যের দাম নিয়মিত বাজারের মতোই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভোক্তা বলেন, সরকার যদি ভর্তুকি স্বস্তির বাজার পরিচালনা করে তাহলেই বাজারের চেয়ে কমদামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাজারের চেয়ে কমদামে কেনা যাবে। এছাড়া সম্ভ না।
মাছ বিক্রেতা বেলায়েত হোসেন জানান, প্রতিদিনের বাজারের মতোই এখানেও একই দামে মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ আমরা বাজারের আড়ৎদারদের কাছে থেকে মাছ কিনে বিক্রি করে থাকি, তাই বাজারের চেয়ে কম দামে বিক্রি করা সম্ভব না। উপজেলা প্রসাশন যদি মাছ চাষিদের কাছ থেকে কিনে আমাদেরকে সরবরাহ করে তাহলে বাজারের চেয়ে কম দামে বিক্রি করা সম্ভব। এতে বাজারে মধ্যসত্যভোগী আড়ৎদাররা মাঝখান থেকে ব্যাবসা করে সেটা করতে পারবে না। এতে বাজারের চেয়ে কমদামে মাছ বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের হাত থেকে জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে এ বাজারের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে সবজি, ডিম, মাছ, সূলভ মূল্যে বিক্রি করতে দেখা গেছে। সরাসরি কৃষক তার পন্য ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করবেন। তাই পন্যের দাম তুলনামূলক বাজারের থেকে কম হবে এবং বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে পন্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলেও জানায় উপজেলা প্রশাসন।
ক্রেতা নাইম ইসলাম জানান, এখানে কিছু পন্যের দাম অন্য বাজারের থেকে কম। আবার কিছু পন্যের দাম অন্য বাজার গুলোর মতোই। তবে কৃষক যদি নিয়মিত তাদের পন্য নিয়ে আসেন তাহলে দাম আরও কমবে। আমরা চাই এটা চালু থাকুক। সিন্ডিকেট ভাঙতে এই বাজারের প্রয়োজনীয়তা আছে।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) মো. নজরুল ইসলাম জানান, কৃষকের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ভোক্তার হাতে পৌঁছে দিতে এই বাজার চালু করা হয়েছে। আপাতত সাতদিন বাজার চলমান থাকবে। তারপর যদি জনসাধারণ চায় তাহলে সময় আরও বর্ধিত করা হবে। তিনি আরও বলেন, এখানে দুস্থদের জন্য স্বস্তি নামে কর্নার আছে সেখানে যে কেউ চাইলে পন্য ক্রয় করে রেখে যেতে পারবেন। যা পরবর্তীতে দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হবে।