অর্থ পাচার, হত্যা, বিএনপি অফিস ভাঙচুরসহ আলাদা ১০টি মামলায় লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, হুন্ডি ব্যবসায়ী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন লালমনিরহাট অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম এ আদেশ দেন।
আওয়ামী লীগ নেতা সুমনের বাড়ি লালমনিরহাট জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনে। তিনি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মৃত বাচ্চু খানের একমাত্র ছেলে। এক সময় তিনি অবৈধ পথে আসা ভারতীয় গরু সিন্ডিকেট ও হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন দীর্ঘ ১৫ বছরে হত্যা, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এই শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন খান। তার নিজের হাতে তৈরি একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ছিল। যাদের ভয়ে কেউ কখনো কোনো প্রতিবাদ করতে পারতেন না। আর এই বাহিনীর দ্বারা তিনি লালমনিরহাট জেলায় একক সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করে এসেছেন।
তাকে কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বা কেউ তার কথা না শুনলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ওই ব্যক্তিকে উঠিয়ে নিয়ে এসে নির্মম নির্যাতন চালাতেন। লালমনিরহাটে তার কথায় ছিল শেষ কথা।
লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঢাকায় ছয়টি ও রাজশাহীতে একটিসহ মোট সাতটি হত্যা মামলা, অর্থ পাচার ও ২০২৩ সালে লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন বিএনপি অফিস ভাঙচুর মামলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুমনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ সময় সুমন খানের বডিগার্ড রাজু আহমেদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন দায়রা জজ আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম।
রিমান্ড মঞ্জুর শেষে তাদের দুইজনকে লালমনিরহাট সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রিমান্ড শেষে তাদের লালমনিরহাট জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে জানান লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এই পুলিশ পরিদর্শক।