ইতিহাসের নতুন এক অধ্যায়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন মার্কিন জনগণ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয়ে গেছে গণনা। কয়েকটি রাজ্যে বুথ বন্ধ হবে আর কয়েক ঘণ্টা বাদেই। তবে, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে বড় ব্যবধানেই এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেমনটা অনুমান করেছিল জনমত জরিপগুলো, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এবারের নির্বাচনে, তেমনটা বাস্তবে প্রতিফলিত হতে দেখা যাচ্ছে না ঠিক। ভোট গণনা শুরু হতেই বোঝা যাচ্ছে, বাইডেন প্রশাসনের নীতির কারণে ব্যাপকভাবে আস্থা হারিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা।
বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে বড়সড় ব্যাবধানে পিছিয়ে আছেন কমলা। অপরদিকে হোয়াইট হাউসের পথে ট্রাম্প পাড়ি দিয়ে ফেলেছেন অর্ধেকটা পথ। যেখানে ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট প্রয়োজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে সেখানে এরই মধ্যে ১৭৮ ভোট পেয়ে গেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। অপরদিকে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন মাত্র ৯৯ ইলেক্টোরাল ভোট। খবর সিএনএনের।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে ৫০টি অঙ্গরাজ্যে। টাইম জোনের তারতম্য থাকায় রাজ্যগুলোতে ভোটগ্রহণ ও সম্পন্ন হয় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে। প্রথম রাজ্য হিসেবে ভোটগ্রহণ শেষ হয় ইন্ডিয়ানা ও কেন্টাকিতে, যেখানে বাজিমাত করেছেন ট্রাম্প।
ভোটের দিন সকাল ৭টা থেকে থেকেই ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের অক্সফোর্ড ও থার্ড স্ট্রিটের ওয়াইএমসি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এখানকার ভোটারদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি ও দক্ষিণ এশীয়।
ভোট শুরুর বেশ আগেভাগেই লাইন দিয়ে দাঁড়ান ভোটাররা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ লাইন আরও দীর্ঘ হয়। ভোটাররা বলেছেন, এত সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি এর আগে কখনও দেখা যায়নি। সেইসঙ্গে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও এ অপেক্ষা অস্বস্তির ছিল না বলে জানান ভোটারদের কেউ কেউ।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো অঙ্গরাজ্য-ভিত্তিক ফলাফল ঘোষণা করছে। ভোটগ্রহণ পর্ব যত শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ধীরে ধীরে ফলাফল আসতে শুরু করছে। যদিও মার্কিন নির্বাচন কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছিলেন এবারের নির্বাচনের ফলাফল পেতে দেরি হতে পারে; কিন্তু বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আনুষ্ঠানিক ফলাফল আসতে দেরি হলেও প্রেসিডেন্ট নির্ধারণ করতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না সে পর্যন্ত।