ঢাকা শনিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
বিস্তৃত হচ্ছে আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের সংঘাত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • ২০২০-১০-০৫ ২০:৫৭:০০

আক্রান্ত বেসামরিক লোকজন

নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের সংঘাত আরও বিস্তৃত হচ্ছে। এতে করে আক্রান্ত হচ্ছে বড় শহরগুলো, সেই সাথে আক্রান্ত বেসামরিক লোকজন।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উভয় দেশের সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে বড় শহরগুলোতে। এতে আক্রান্ত হচ্ছেন বেসামরিক লোকজন। অনেকে প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন।

এরমধ্যেই যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে উভয় দেশ। আজারবাইজানের দাবি, নাগার্নো-কারাবাখ থেকে আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি সরিয়ে নিতে হবে৷ আর আর্মেনিয়া এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এতে সংঘাতের পথ আরও প্রশস্ত হচ্ছে।

উভয় দেশই গুরুত্বপূর্ণ ও বড় শহরগুলোতে হামলা করছে। এতে বেসামরিক মানুষের বিপন্ন হওয়ার জন্য একে অপরকে দায়ী করছে।

আর্মেনিয়া সরকার রোববার আজারবাইজান কর্তৃক স্টেপানকার্টে হামলার চিত্র প্রকাশ করেছে। এ হামলার ফলে অনেক বেসামরিক নাগরিকের হতাহতের দাবিও করেছে।

আর্মেনিয়ার প্রকাশিত তথ্যচিত্রে বেসামরিক ভবনের ধ্বংসাবশেষ ও মহাসড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখো গেছে।

আর্মেনিয়া বলছে, সোমবারও আজারবাইজান বাহিনী সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে, ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে৷

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গানজায় আর্মেনিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

গানজা হচ্ছে আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, প্রায় তিন লাখ ৩০ হাজার মানুষ থাকে এই শহরে।

পশ্চিমাঞ্চলীয় এই শহরটি লক্ষ্য করে আর্মেনিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

আজারবাইজানের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হয়েছে, যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যাচ্ছে।

নাগার্নো-কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী দাবি করছে, তারাও গানজা শহরে হামলা চালিয়ে সেখানকার বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে।

নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আজারবাইজানের হলেও সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সেটি জাতিগত আর্মেনিয়ানদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। বিতর্কিত এই অঞ্চলটি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে গত বিশ বছরে এটি সবচেয়ে গুরুতর সংঘাত৷ এর মধ্যে উভয় পক্ষে ২৪০ জন নিহত হয়েছে বলা হচ্ছে, যার মধ্যে ৩০ জন বেসামরিক লোক। যদিও প্রকৃত চিত্র গণমাধ্যমে তেমন একটা আসছে না।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার সময় নাগার্নো-কারাবাখ স্বাধীনতা ঘোষণা করলে সেখানে যুদ্ধ শুরু হয়, যাতে মারা যায় প্রায় ৩০,০০০ মানুষ।

  ইসরায়েলের হামলায় গাজার শেষ হাসপাতালটিও বন্ধ
ইন্টারপোলের লাল তালিকায় ৬৩ বাংলাদেশি
ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি কাতারের