মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে নীলফামারীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ ৯ব্যক্তি ও তাদের পরিবার। মঙ্গলবার বিকেলে নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে গুম ও আয়না ঘরের পৈশাচিক নির্যাতন তুলে ধরেন নরসিংদী জেলার রায়পুরা এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে খতিব শফিকুল ইসলাম।
এতে তিনি অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করে আমাকে ৪০দিন গুম করে রাখা হয় আয়না ঘরে। সে সময় পৈশাচিক নির্যাতন করা হয়।
বলেন, জঙ্গি তকমা লাগিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ২০২২সালের ১৩জানুয়ারী ঢাকার মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট থেকে আমাকে গ্রেফতার করে। পরে ৪০দিন গুম করে রেখে পরের মাসের ২১ফেব্রæয়ারী নীলফামারী থানায় হস্তান্তর করে। সেখান থেকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
অভিযোগ করেন, কথিত জঙ্গি নাটক সাজিয়ে আমাকে ছাড়াও নীলফামারী সদরের আরো দশজনকে আসামী করা হয়। এদের মধ্যে ৫আগষ্টের পর সাতজন জামিনে ছাড়া পেলেও এখোনো কারাগারে রয়েছেন ৪জন নিরিহ মানুষ।
জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের কুখাপাড়া এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ রাতের বেলা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমার বাড়িতে হাজির হয়ে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়।
ক্রস ফায়ারের হুমকী দিয়ে অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। আমি উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে অথচ জঙ্গি বানিয়ে আমাকে শেষ করে দেয়া হলো। জড়ানো হয় আমার ভাইকেও।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা নাটক সাজিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে আমাদের জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন। এর বিচার হতে হবে।
আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই এসব মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করে কলঙ্ক মুক্ত করা হোক।