অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক সাখওয়াত হোসেন সুমন খান (৪৮), তাঁর স্ত্রীসহ তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। প্রায় ৪ শত ২৮ কোটি ৮৪ লক্ষ ৮২ হাজার ১ শত ৯৭ টাকা পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই সরকার বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। সাখওয়াত হোসেন সুমন খান শহরের কালীবাড়ি মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত বাচ্চু খানের ছেলে।
দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখল, হুন্ডি ব্যবসা, চোরাচালান, বিরোধী দলের লোকজনকে ধরে এসে নিযার্তন ও টেন্ডারবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ ছিল। হুন্ডির ব্যবসার কারণে তিনি হুন্ডি সুমন নামেও পরিচিত।
অপর দুই আসামি হলেন সুমন খানের স্ত্রী মোছা. নাহিদা আক্তার রুমা (৪৩) ও কর্মচারী লালমনিরহাট পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা তৌকির আহমেদ মাসুম (৩৮)।
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, সুমন খানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, স্বর্ণ চোরাচালান, মাদক কারবার, টাকা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করে লালমনিরহাট সিআইডি পুলিশ। অনুসন্ধানে সুমন খানের ব্যাংকে ২৩৭ কোটি ৪৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬০ টাকা, তাঁর স্ত্রী মোছা. নাহিদা আক্তার রুমার (৪৩) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ৩১০ টাকার সন্ধান মেলে।
এ ছাড়া সুমন খানের কর্মচারী লালমনিরহাট পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা হারুনের ছেলে তৌকির আহমেদ মাসুমের (৩৮) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৮৬ কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার ১২৭ টাকা পাওয়া গেছে।
বৈধ আয়ের উৎস না থাকলেও তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪ শত ২৮ কোটি ৮৪ লক্ষ ৮২ হাজার ১ শত ৯৭ টাকা পরিমাণ অর্থের জমা, স্থানান্তর ও রূপান্তর করা হয়। এসব অপরাধে ২০১৫ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪ (২) ধারায় তাঁদের তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিআইডি পুলিশ।
এ বিষয়ে সিআইডি লালমনিরহাটের এএসপি আবদুল হাই সরকার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি সিআইডি তদন্ত করবে। আসামিদের প্রত্যেককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান আছে।