অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সার্বিক নির্দেশনা বাস্তবায়নের প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ৮ অক্টোবর। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনার শুরুতে ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ কিশোরগঞ্জ, নীলফামারীরচেয়ারম্যান ফজলার রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সেনুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ঠাকুরগাঁও সদরের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চেয়ারম্যান এম আর মুজিবুর রহমান , ১৭ নং জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদ, মুরাদনগর, কুমিল্লার চেয়ারম্যান ইন্জিনিয়ার সৈয়দ সওকত মীর আহমেদ, শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদমুরাদনগর, কুমিল্লার চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার, পূর্বধল ইউনিয়ন পরিষদ, দক্ষিণ ভাঙ্গরা, কুমিল্লার চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, সেনুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ঠাকুরগাঁও সদরের মোঃ মতিউর রহমান, তাড়াইল সাচাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদ তাড়াইল, কিশোরগঞ্জের চেয়ারম্যান মোঃ সাইম দাদ খান নৌশাদ, ফুকুরহাটি ইউনিয়ন পরিষদ, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, ২ নং দাদশী ইউনিয়ন পরিষদ রাজবাড়ী সদর রাজবাড়ীর চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার শেখ, ১নং রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদ, মেঘনা , কুমিল্লার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মজিবর রহমান, শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ পুঠিয়া, রাজশাহীর চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল,পীর কাশিমপুর, মুরদানগর, কুমিল্লার চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল, ৫ নং বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ঠাকুরগাঁও সদরের মোঃ জুলফিকার আলী ভুট্টো চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চেয়ারম্যান মুফতী আমজাদ হোসাইন আশরাফী তার লিখিত বক্তব্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহযোগী হিসেবে দেশের সকল ইউনিযন পরিষদের চেয়ারমানের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। ইউনিয়ন পরিষদে মূলত কি কি সেবা দেওয়া হয়!
বক্তারা বলেন বিজিএফ-এর চাল বিতরণ, বিডব্লিউ-এর চাল বিতরণ, টিসিবি পণ্য বিক্রি, কৃষি ও মৎস প্রণোদনা বিতরণ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করা হয়! যেগুলো বিতরণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারদের দিনরাত এক করে পরিশ্রম করতে হয়। ওয়ারিশান সনদপত্র, প্রত্যয়নপত্র, চারিত্রিক/ নাগরিক সনদপত্র, জন্মনিবন্ধন ও মৃত্যুনিবন্ধনের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ইউনিয়ন পরিষদ থেকেই হয়ে থাকে। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে গ্রাম মহল্লায় বিভিন্ন শালিস দরবার তথা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা হয়। গ্রামীণ অবকাঠামো তথা নতুন রাস্তা নির্মাণ, পুরনো রাস্তা মেরামত, সরকারি সেবাদানের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমেই রক্ষণাবেক্ষণ হয়ে থাকে।
যদি পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয় বা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়, তাহলে দেশ ও দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের জনসাধারনের জন্য সরকারি সার্বিক সেবাদান মারাত্মকভাবে ব্যহত হবে। গ্রাম-গঞ্জে আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি ঘটবে। চুরি, ডাকাতি, নেশা সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্ম ধারণার বাহিরে বৃদ্ধি পাবে। দেশ হয়ে যাবে একদম অচল অবশ। বিগত দিনে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও পরিষদ ভেঙে দেওয়া বা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করার কোন দৃষ্টান্ত আমরা দেখিনি।
বক্তারা মেয়াদ পর্যন্ত জনগণের সেবা প্রদানের সুযোগ দেওয়ার প্রধান উপদেষ্টাসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ অনুরোধ করেন। এবং তারা সরকারের সার্বিক নীতিমালা মেনে সরকারের সহযোগী ও সহযাত্রী হিসাবে শতভাগ সততার সাথে কাজ করে যাবার অঙ্গীকার করেন।