ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
মহিলা সাংসদ শিউলী আজাদের ৮দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
  • ২০২৪-১০-০৭ ০৯:৫২:৪৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় সংরক্ষিত আসনের সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম  শিউলী আজাদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালতের বিচারক স্বাগত সাম্য এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক রহমান খান পাঠান ১০দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৮ দিনের রিমান্ড মনজুর করেন।

 

আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালে মোদি বিরোধী আন্দোলনে সরাইল বিশ্ব রোড মোড় এলাকায় নিহত লিটনের পক্ষ্যে মাওলানা সুলতান উদ্দিন শিউলী আজাদসহ ৬৭ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আরো ২ থেকে ৩শ জনের নামে সরাইল থানায় একটি  হত্যা মামলা দায়ের করেন। গতকাল রোববার রাতে ঢাকা নিকেতনে বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সোমবার তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে দীর্ঘ শুনানি শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক স্বাগত সাম্য তাকে ৮দিনের রিমান্ড মনজুর করে। 

 

সরাইল থানা সূত্রে জানা গেছে, ৩ সেপ্টেম্বর উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ৬৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। তিনি ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি। উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা সুলতান উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় সরাইল বিশ্বরোড মোড় এলাকায় আসামিদের গুলিতে নিহত হন উপজেলার কাটানিশার গ্রামের মুজান মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৭)। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। ওই ঘটনায় মামলা করেন সুলতান উদ্দিন।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোর্ট ইন্সপেক্টর মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের একটি হত্যা মামলায় পুলিশ তাকে আটক করে। আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তাকে ৮দিনের রিমান্ড মনজুর করে। তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

 

উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের তিনজনের আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি প্রয়াত এ কে এম ইকবাল আজাদের সহধর্মিনী।

 

ইকবাল আজাদ নিহত হওয়ার দুই বছর পর ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর উম্মে ফাতেমা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হন। এরপর ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের উপস্থিতিতে তিনজনের আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন উম্মে ফাতেমা। দুই বছরেও ওই কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী