দিনাজপুরে বিএনপির মধ্যে দলীয় কোন্দল চরম আকার ধারণ করার একাধিক গ্রুপ তৈরি হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে।
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে দিনাজপুর প্রেসক্লাব নিমতলা সম্মুখ সড়কের জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচিসহ তার সহযোগী সন্ত্রাসী বাহিনীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিএনপি'র অপর একটি গ্রুপ। মানববন্ধনে বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, যুবদল সহ ৫ শতাধিক নেতাকর্মী মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচির বিরুদ্ধে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন হোসেন, তার সন্তান তানভীর ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল এর উপর, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচির নেতৃত্বে তার অনুসারী সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম সদস্য সাজু, প্লাবন, সোহেল, সোহাগ, রেজা, নবাব, জনিসহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী হেলাল লিমন এবং আরো কয়েকজনের কে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে। দীর্ঘদিন তারা গুরুতর আহত অবস্থায় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে।
বিএনপি'র একটি অংশ মানববন্ধনে অংশ দিয়ে দাবি করেন, জেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে তার নিজস্ব বাহিনী দ্বারা দখলবাজি, চাঁদাবাজি শুরু করে। সে বিএনপির রাজনীতিকে কলঙ্কিত করছে। দ্রুত সময়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বকতিয়ার আহমেদ কচিকে দলীয় সকল পদ থেকে বরখাস্ত করার দাবিও করেন। সে তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি, দখলবাজি শুরু করে সকল ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে বখতিয়ার আহমেদ কচির নিজস্ব সন্ত্রাসীরা দিনাজপুরের মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। তার কাছে দলীয় নেতাকর্মীরাও সুরক্ষিত নয়।
আহত শাহীন এর স্ত্রী আসমাউল হুসনা বুবলি বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে একটু সুস্থ হয়েছে। তার মাথায় এখনো ব্যান্ডেজ রয়েছে তাকে নির্মমভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে যখন করেছিল বক্তিয়ার আহমেদ কচি সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর এই ঘটনায় দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়ের করার পর পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে পারিনি।।তারা প্রকাশ্যে মামলা তুলে নেওয়া সহ হুমকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সংবাদপত্রে রিপোর্ট প্রকাশ হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান জুয়েল সহ এই মানববন্ধনে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাদেরকে দেখা যায়। তারা বলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি একক আধিপত্য বিস্তার করার জন্য বিএনপিকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এভাবে চলতে থাকলে বিএনপির সহ বিএনপি নেতা কর্মীরা আওয়ামী সরকারের কর্মকাণ্ড আর বখতিয়ার আহমেদ কচির কর্মকান্ড দেখে হতাশ। একসময় বিএনপির প্রতি মানুষের যে সহানুভূতি ছিল। তা আর থাকবে না। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে বখতিয়ার আহমেদ কচিসহ তার সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচির সাথে যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি ।