দিনাজপুরে আসন্ন দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে পূজার সামগ্রী বিক্রির দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। প্রতিমার হাতের হাতিয়ার, কাগজের মালা, মাথার টোপর, অলংকার, শাড়ি লেস, সিদুর, শঙ্খ, শাখা, ধুপকাঠি বিক্রি বেড়ে গিয়েছে।
সকাল থেকেই গভীর রাত পর্যন্ত পূজার সামগ্রী বিক্রির দোকানগুলো তো হিন্দু ধর্মাবলম্বী ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড় লেগেই আছে।
দিনাজপুরের নির্ধারিত কয়েকটি দোকানে পূজার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে শাখা, সিঁদুর থেকে শুরু করে দেবী দুর্গার শাড়ির লেজ, ধূপকাঠি, কৃত্রিম চুল, ফুলের মালা, মাথার টোপ থেকে শুরু করে অন্যান্য পূজার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। তবে গতবছরের তুলনায় এ বছর পূজার সামগ্রীর পণ্যের দাম একটু বেশি হলেও পূজায় ক্রয় করতে হবে এমন চিন্তা চেতনা থেকেই ক্রেতারা পূজার সামগ্রী ক্রয় করছেন।
ক্রেতা মনা রায় বলেন, আগামী ৯ অক্টোবর থেকে টিভি দুর্গার পূজা শুরু হচ্ছে। তাই দেবী দুর্গার পুজোর জন্য ধূপকাঠি, সিঁদুর, মাথার টোপর, নকল চুল, ক্রয় করতে এসেছি। এ বছর গতবছরের তুলনায় দাম বেশি। তারপরও ক্রয় করতে হবে পূজা বলতে কথা।
ধীরেন্দ্রনাথ পাল বলেন, আমরা প্রতিমা তৈরি করেছি। তাই শেষ মুহূর্তে প্রতিমার সাজসজ্জা কিছু জিনিস ক্রয় করতে এসেছি। আমার মত অনেকেই যে সমস্ত ছোটখাটো জিনিস শেষ হয়েছে সেগুলোই ক্রয় করতে এসেছে।
বিক্রেতা মনোজ রায় বলেন, এবছর পুজার সামগ্রী সামান্য কিছু দাম বাড়লেও হাতের নাগালে রয়েছে। তবে এবছর বড় বড় মন্ডপে পূজা না থাকায় ছোট পরিসরে পূজার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতা বীরেন্দ্রনাথ বলেন, পূজার সামগ্রী বিক্রির চাপ বেড়ে গিয়েছে। কারণ অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। তাই পূজারীরা সহ সকলেই পূজার সামগ্রী কেনার জন্য দোকানে ভিড় করছে। আমরাও যথাযথভাবে পূজার সামগ্রী অল্প লাভ করে ক্রেতাদের কাছে তুলে দিতে পারছি।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এবছর দিনাজপুরে ১ হাজার ২২৫টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। প্রতিটি মন্ডপে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটতে পারে সেই জন্য যৌথ বাহিনী মাঠে কাজ করছে।