পার্বতীপুর পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ এনে সর্বস্তরের ছাত্র, জনতা ও পৌর কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। আজ বুধবার সকাল ১১টায় পৌর ভবনের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন, যুবদল নেতা মাহাবুব রশিদ সংগ্রাম, পৌর কর্মচারী আফসানা টিউলিপ, নুর এ আজম কিবরিয়া নবাব প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পার্বতীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র (বাতিলকৃত পৌর পরিষদ) আমজাদ হোসেন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম ও প্রধান সহকারী মিজানুর রহমান মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাদের নিজ পরিবার ও মনোপুত লোকদের নিয়োগ দিতে গোপনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। গত ৫ মে নাম স্বর্বস্ব দুটি পত্রিকায় দেয়া হয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। দেশের কোথাও সেসব পত্রিকার কোন সার্কুলেশন নাই। এর মধ্যে একটি পত্রিকার প্রতিনিধি সাবেক মেয়র আমজাদ হোসেন নিজেই। নিয়ম অনুযায়ী প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি পৌরসভার নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গানোর কথা থাকলেও তাও করা হয়নি। গোপন রাখা হয়েছিল।
পৌরসভায় মাস্টার রোলে নিয়োজিত পৌর কর্মচারী আফসানা টিউলিপ, নুর এ আজম কিবরিয়া নবাব অভিযোগ করেন, ১০/১৫ বছর যাবত দায়িত্ব পালনকারী কর্মচারীদের নিয়োগ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের অগ্রাধিকারের কোন শর্তই উল্লেখ করেনি কর্তৃপক্ষ। এধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পৌরসভার নিয়োগ বিধির লংঘন। তারা আরও জানান, সাবেক পৌর মেয়র ও প্রধান প্রকৌশলী তার নিজের আতœীয় স্বজন ও অর্থ নিয়ে তাদের মনোপুত লোকদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে পূর্ব থেকেই একটি ফলাফল তালিকা তৈরি করে রাখেন। সেই তালিকায় সর্বোচ্চ অর্থ প্রদানকারীদের নামের পাশে স্টার চিহ্ন দিয়ে রাখা হয়। ওই চিহ্নিতের তালিকায় প্রধান প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের পুত্রের নামও রয়েছে বলে বঞ্চিত কর্মচারীদ্বয় অভিযোগ করেন। তারা বলেন, সাবেক পৌর মেয়র ও প্রধান প্রকৌশলী ৬ চাকুরী প্রার্থীর প্রতি জনের কাছ থেকে ২০- ৩০ লাখ টাকা করে গ্রহন করেছেন। এছাড়াও অন্যান্য অনেক প্রার্র্থীর কাছ থেকেও অর্থ নিয়েছেন। সাবেক পৌর মেয়র বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী হওয়ায় তিনি এখন গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে চাকুরী না পাওয়ার আশংকায় অন্যান্য চাকুরী প্রার্র্থীগন এখন নিজ অর্থ ফেরৎ পেতে সমাজ পতিতের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছেন।
এসব বিষয়ে কথা বলতে পৌর মেয়রকে না পেয়ে প্রধান প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তাকেও পাওয়া যায়নি। পরে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করলেও কোন কথা না বলে কেটে দেন।