লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় শ্মশানের জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার মধ্য রাতে ওই উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বুড়াসারডুবী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের দাবী হামলাকারীরা তাদের দূর্গা পূজার প্রতিমাও ভাংচুর করেছে। এ সময় সাহিনুর ইসলাম নামে একজনকে আটক করে পুলিশ দেয় বিজিবি।
জানা গেছে, ওই এলাকায় মৃত নাসির উদ্দিন পুত্রদের সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে শ্মশানের জমি নিয়ে বিরোধী। নাসির উদ্দিনের পুত্র সাইদুল ইসলাম ও সাফি আওয়ামীলীগের রাজনীতিতের সাথে জড়িত থাকার সুবাদে আওয়ামীলীগের সরকার সময় তার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে হিন্দুদের উপর বিভিন্ন সময় হামলা-মামলা করেন। ৫ আগষ্টে পটপরিবর্তনের পর নাসির উদ্দিনের অপর পুত্র আনারুল ইসলাম জামায়াতে ইসলাম, মাইদুল ইসলাম মহল ও এনামুল ইসলাম নামে দুইজন বিএনপি-র রাজনীতিতের সাথে জড়িত থাকার সুবাদে তারাও হিন্দুদের উপর হামলা করেন। এসব ঘটনার জের ধরে স্থানীয় থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলা সোমবার দুপুরে আনারুল ইসলাম নামে নাসির উদ্দিনের এক পুত্রকে পুলিশ গ্রেফতারও করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার রাতে নাসির উদিনের পুত্রদের লোকজন ফের হিন্দুদের উপর হামলা চালায়। এ সময় সাহিদুল ইসলাম নামে একজনকে বিজিবি গ্রেফতার করে পুলিশে দেয়। তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের দাবী হামলাকারীরা তাদের দূর্গা পূজার প্রতিমাও ভাংচুর করেছে।
ওই এলাকার আবুল বাশার ও মজিবুল হক জানান, নাসির উদ্দিনের পুত্রদের ২ জন আওয়ামীলীগের ও দুই জন বিএনপি-জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত। ফলে যখন যে পারে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে হিন্দুদের উপর হামলা চালায়। ওই জমিতে শ্মশান ছিলো এটা চরম সত্য এবং আমরা ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি।
তবে নাসির উদ্দিনের পুত্র এনামুল হক ও আনারুল ইসলাম হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন। হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদু ন্নবী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, এ শ্মশানের জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ। ওই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। হিন্দুদের উপর হামলা ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।