নরসিংদীর শিবপুরে মাছিমপুর ইউনিয়নের দত্তেরগাঁও মধ্যপাড়া গ্রামের ফিড ব্যবসায়ী দৌলত হোসেন খান (৫২)কে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,সন্ত্রাসীরা চুরির ফাঁদ পেতে ট্রাকের ব্যাটারি চুরি করার পায়তারা করতে থাকে সন্ধ্যা থেকেই টের পেয়েই নিহত দৌলত খান চুরির ঘটনা আঁচ করতে পেরে ঘর থেকে বের হন পোল্টি ফার্মের দুজন কর্মচারিকে নিয়ে ।
বাড়ি থেকে পশ্চিমে ১০০ গজ দূরে মোরশেদ ফকিরের বাড়ির পাশে গেলেই ওতঁপেতে থাকা চুরির কৌশল খাটানো সন্ত্রাসীরা দৌলত খানকে উপর্যুপুরি ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে থাকে । এসময় দৌলত খানকে কোপাতে থাকলে বাচার আকুতিতে ঘোংরানোর শব্দে মোরশেদ ফকির টের পেয়ে ঘর থেকে বের হতে চেষ্ঠা করতে চাইলে খুনিরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিলে তারা ঘর থেকে বের হননি । পরে ৮/৯ খুনি মোরশেদ ফকিরের বাড়ির ওঠানে ফেলে উপর্যুপরি কোপায় এসময় নিহত দৌলত খানের বুকের পাজর ও লিঙ্গ,হাত পা ও পিঠ আলগা করে ফেলে । খুনিরা মৃত্যু নিশ্চিত করে দৌলত খানের । অতিরিক্ত রত্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় । পরে পুলিশ এসে লাশ সুরতহাল করলে তার শরীরে ৪৩ টি আঘাতের চিহ্ন পায় ।
দৌলত খান ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দুজন কর্মচারিকে নিয়ে বের হন তারা জানান, পোল্টি ফার্মের কাজ শেষ করে শুয়ে পরি পরে দৌলত দাদা আমাদেরকে ডাকেন গাড়ির ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে যাইতাছে পরে আমরা বের হই,বের হলেই ৮/৯ লোক দৌলত দাদার ওপর হামলা করে পরে তিনি দৌড় দিতে চেষ্ঠা করেন তখন খুনিরা দাদাকে দা,কুড়াল দিয়ে কোপাতে থাকে এবং আমাদেরকে জিম্মি করে ফেলে গলায় ছুড়ি ধরে রাখে পরে দৌলত দাদাকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে গেলে আমরা ডাক চিৎকার করতে থাকলে আশ-পাশের লোকজন চর্তুদিকে বের হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় । সন্ত্রাসীরা দৌলত হোসেন খানের মৃত্যু নিশ্চিত করে তবেই পালায় । ঘটনাটি ঘটে দিবাগত রাত ১ দিকে । নিহত দৌলত হোসেন খান দত্তেরগাঁও মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত সামসুল ইসলাম খান আরজুর ছেলে। পরে পুলিশ এসে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে ।
শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আফজালুর রহমান জানান,খুনি যেই হোক তাদেরকে তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনবো । যারা এই হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে তারা রেহাই পাবে না ।