ঝিনাইদহে জেলা বিএনপির আয়োজনে জনসভাতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভার্চু্য়ালিতে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তবর্তিকালীন সরকার মাঝে মাঝে অসহায় বা বিপর্যয় বোধ করছেন ; এর অবসান না হলে এদের বেড়াজলে আবদ্ধ ছোট ছোট বির্পযয় একসময় নিজেদের সামনে দেখতে পাবে ; তখন প্রতিকারের পথও হয়ে যাবে সংকীর্ণ। নিরাপত্তা ও জনগনের সু্বিধা সবই দিতে পারে একমাত্র জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার। সে কারনে নির্বাচনের বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার পতনে মহা বিপ্লব ও জনগনের সফলতা এবং স্বাধীনতা এনেছে রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের মানুষ। এ ছাত্র জনতা, রাজনৈতিক দলসহ সকল মানুষের অবদানকে আমরা মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়, ১৭ বছর ধরে আন্দোলেন গুম,খুন, নির্যাতন, হামলা, মামলা ও রাজনৈতিক কর্মীর অবদানকে মুল্যায়ন না করলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না।
এ আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্নত্যাগ সেদিন সফল হবে যেদিন রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পাবে, অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে।
বাংলাদেশের সকল মানুষ নিরাপত্তা, শিক্ষার গ্যারান্টিসহ সকল কিছু প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
তিনি ৩০ মিনিটের বক্তব্য আরও বলেন, ঝিনাইদহ জেলাতে বহু মানুষকে আমরা হারিয়েছি, দুলাল মিয়া, পলাশসহ বিভিন্ন আন্দোলেন বহু মানুষ হারিয়েছি। গত ৫ ই আগষ্ট স্বৈরাচারকে বিদায় দিয়ে দেশের মানুষকে মুক্তি দিয়েছে।
মানুষ এখন মুক্ত স্বাধীন ভাবে সকল জনসভাসহ মত প্রকাশ করতে পাচ্ছে। তার প্রমান আজকের বিএনপির জনসভা।
আজ বিকালে ঝিনাইদহ শহরের পায়রাচত্তরে বিএনপির এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও তথ্য গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ তথ্য গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুলসহ অনেকে। সমাবেশ পরিচালনা করেন দলের সাধারন সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা।
বিকাল ৩টার পর থেকে ৬টি উপজেলা বিএনপিসহ দলীয় অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত হন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর এই প্রথম জেলা শহরে এতো বড় আয়োজনে বিএনপি সমাবেশ করে।