আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) করোনা ভাইরাস প্রতিষেধক ওষুধ ইভারমেকটিন নিয়ে বিবিসি’র সঙ্গে কথা বলবেন আমেরিকার বসবাসরত বাংলাদেশী ডাক্তার মাসুদুল হাসান। বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যে ৬ টা পর্যন্ত এ বিষয়ে বিভিন্ন জনের প্রশ্নের উত্তর দিবেন তিনি।
করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক ওষুধ হিসেবে ইভারমেকটিন ব্যবহারের প্রথম পরামর্শক প্রদানও করেছেন তিনি। তার পরামর্শ মতে ইভারমেকটিন ওষুধ প্রয়োগ করে করোনা আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হচ্ছে। ইভারমেকটিন নামক ওষুধটি প্রাথমিক ব্যবহারেই সফল পাচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীরা। তার আবিস্কারের এ অবদান অপরিসীম বলে মনে করছেন মার্কিন গবেষকবৃন্দ।
সারা বিশ্বে যখন কোভিট-১৯ ( করোনা ভাইরাস) প্রভাব বিস্তার শুরু করে। ভয়াবহ এই ভাইরাস দূর করতে মার্কিন গবেষকবৃন্দ দিশেহারা হয়ে পরেছেন। ঠিক তখনই ডা. মাসুদুল হাসান ইভারমেকটিন নামক ওষধ সেবন করার পরামর্শ প্রদান করেন। তাঁর পরামর্শে করোনা আক্রান্ত অনেক রোগী সফলতা লাভ করেন।
আজ সোমবার মানিকগঞ্জ নুর জাহান হাসপাতালের ডাক্তার নুরুজ্জামান এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, আমেরিকার ফ্লোরিডা রাষ্ট্রে ইভারমেকটিন প্রয়োগে খুবই ভাল ফল পেতে শুরু করে করোনা আক্রান্তরা। বাংলাদেশে তিনিই সর্বপ্রথম প্রত্যেককে ইভারমেকটিন সেবন করার পরামর্শ প্রদান করেন এবং তাঁর উপদেশ অনুসারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অধিকাংশরাই সুফল পেতে শুরু করলে এর প্রচার এমনভাবে বৃদ্ধি পায় যে, আমেরিকায় অবস্থানরত বাংলাদেশের মানুষ কখন আক্রান্ত হয় ভেবে পূর্ব থেকেই করোনা প্রতিষেধক ওষুধ হিসেবে ইভারমেকটিন ক্রয় করে ঘরে ঘরে রেখে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব ও আর্মি বিভাগেও ইনভারমেকটিন এর প্রয়োগে শতভাগ ফল পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গেছে। ডা. মাসুদুল হাসান এমডি অনেক প্রতিকুলতার মধ্যে যখন ইনভারমেকটিন এর কার্যকারিতা ও সুফল ব্যাখ্যা করছিলেন ঠিক তখন জোহন হোপকিন্স এই ইনভারমেকটিন এর উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দিয়ে শত ভাগ ভাল ফল পেলেন। অত:পর অস্ট্রেলিয়া, টরেন্টো, ভারত, লকনো, জেনেভো, ব্রাজিলসহ অনেক রাষ্ট্রে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ইনভারমেকটিন এর শত ভাগ কার্যকারিতা পায়।
বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্তের হার অনেক বেশী হলেও তারা ইনভারমেকটিন ব্যবহারের ফলে আক্রান্তের তুলনায় মৃতের হার অনেক অনেক কম। প্রফেসর ত্থোমাস বরোডি এই ইনভারকেটিন ওষুটির অনুমোদন প্রদান করেন বিশ্ব ¯^াস্থ্য সংস্থার ও ফেডারাল ড্রাগ এডমিনিসট্রেশন এর সাথে কাজ করে।
উল্লেখ্য যে, পেরু বিশ্ববিদ্যালয়,বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয় ইনভারমেকটিন ব্যবহার শুরু করেছে। এছাড়াও থাইল্যান্ড, মুম্বাই,ডোমিনিক্যান রিপ্রাবলিকস এর বৃহৎ হাসপাতালগুলোও ইনভারমেকটিন এর প্রয়োগ শুরু করে সুফল পাচ্ছে। এমনকি আইসিডিডিআরবি ও ইনভারমেকটিন এর কার্যকারিতা পেয়েছে।
করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিস্কার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ে গোটা বিশ্বেও সংশ্লিস্ট বিশেষজ্ঞরা যখন ব্যস্ত ঠিক তখনই ডা. মাসুদুল হাসানের ইনভারমেকটিন নামক ওষুধটি করোনা আক্রান্ত কারীদের জন্য প্রয়োগের পরামর্শ যেন পৃথিবীর সকল দেশের মানুষের মধ্যে প্রাণ ফিরিয়ে আনলো। এর সঠিক ব্যবহার প্রয়োগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শত ভাগ সুস্থতার মুখ দেখা শুরু করলো। প্রফেসর ডা. মাসুদুল হাসান’কে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। কোভিট-১৯ তথা করোনা ভাইরাস রোগের চিকিৎসায় প্রফেসর ডা. মাসুদুল হাসানের ইনভারমেকটিন প্রয়োগের পরামর্শের অবদান অপরিসীম। চিকিৎসার জগতে তিনি ¯^রণীয় হয়ে থাকবেন চিরকাল। তার সু¯^াস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় আমরা বাংলাদেশের জনগন।
জানা গেছে, ডা. মাসুদুল হাসান রাজধানীর ধানমন্ডির ৫ নং রোডের ৪২/১ বাড়ীর বাসিন্দা শহীদ ডা. আশরাফ ভূঁইয়ার জৈষ্ঠ ছেলে। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে কে-২৯ ব্যাচে কৃতিত্বের সাথে এমবিবিএস পাশ করেন। তিনি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সন্তান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভারসিটির বর্তমান ভিসি ডা. কনক কান্তি বড়–য়া ও ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এর সহপাঠী। সর্বোপরি তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জৈষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
কর্ম জীবনে তিনি নিষ্ঠা ও সততার সাথে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত থেকে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। ডা.মাসুদুল হাসান বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাইকমিশনে হৃদরোগ কনসালটেন্ট হিসেবে ১৯৯২ হতে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত দক্ষতা, সুনাম ও কৃতিত্বের সাথে কাজ করেছেন। এমনকি তিনি ইরানের তেহরানে বিমারিসথান ইমাম খোমানি ভেরামিন প্রতিষ্ঠানেও হৃদরোগ কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন।
বর্তমানে তিনি সুদুর আমেরিকার নিউয়র্কে মেট্টোপলেথিন লারনিং ইনস্টিটিউট এ প্রফেসর ও পরিচালক হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ইউএস আওয়ামী লীগ এর উপদেষ্ঠা এবং শেখ কামাল স্মৃতি পরিষদু ইউএস এর সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন। একজন চিকিৎসকের প্রধান ধর্ম মানবসেবা। তিনি সেই মানবসেবায় বিশ্বাসী এবং মানবসেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর।