ঢাকা রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
পাইপলাইন: মাটি খুঁড়তেই অর্ধেক খরচ করবে তিতাস
  • নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • ২০২০-০৯-২৮ ০২:০১:২৮

পাইপলাইন বসানোর মোট ব্যয়ের অর্ধেকই খরচ হবে মাটি খুঁড়তে। বাস্তবায়নের পুরো কাজ নিয়ে যাতে কোনো জবাবদিহি করতে না হয়, সেজন্য বিশেষ আইনের আওতায় সাড়ে ১৩শ' কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে তিতাস। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, মাটি খোঁড়ার নামে অর্থ লোপাটের উদ্দেশ্য থাকতে পারে তিতাসের।

জরাজীর্ণ, বহু ছিদ্রের এমন পুরোনা পাইপ কত আছে বিতরণ প্রতিষ্ঠান তিতাসের হিসাবে নাই। বহু আগে স্থাপিত, কিন্তু পরিত্যক্ত এবং চালু লাইনের একটা উপযুক্ত ম্যপিংও তাদের নেই এখন। ৩০ থেকে ৪০ বছর আগে বসানো পাইপের ৭০ শতাংশই এখন ঝুঁকিপূর্ণ। কখনো কখনো মৃত্যুরও কারণ।

বিতরণ ব্যবস্থায় জালের মত ছড়িয়ে থাকা অকেজো পাইপলাইন প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে তিতাস। ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ ১২ জেলার বিরাট এলাকা তিতাসের বিতরণ ব্যবস্থায় থাকলেও পাইপ বদলানো প্রকল্পে অগ্রাধিকার পাচ্ছে ঢাকা।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের জিএম (উন্নয়ন) প্রকৌশলী আব্দুল ওয়াহাব বলেন, 'ফার্স্ট পজিশনে ৬০টি ব্লককে আমরা টেকআপ করেছি। বেশিরভাগই পড়েছে ৩০ বছর আগে যে লাইনগুলো বসানো হয়েছে, সেটা পুরোনো ঢাকা, বাসাবো,  খিলগাঁও, ধানমন্ডির মধ্যে রয়েছে।'

গ্যাস অপচয়, চুরি এবং নাশকতা রুখতে ৪৫০ কিলোমিটার নতুন এই লাইনে যুক্ত হবে স্ক্যাডা, জিআইএস সহ অত্যধুনিক প্রযুক্তি। খরচ ১৫০ কোটি টাকার মত। বাকি ১২০০ কোটি টাকার মধ্যে ৬০০ কোটির বেশি খরচ হয়ে যাবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতেই।

আব্দুল ওয়াহাব আরো জানান, 'অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ সেটা বিবেচনায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যে বিশেষ আইন রয়েছে, সেই আইনেই আমরা এটা করতে চেয়েছি যা প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি নিয়োগ করার পর কাজটা জলদি হয়ে যাবে। রোড কাটিং পারমিশন আমরা যত জলদি পাবো তত জলদি আমরা কাজ শুরু করতে পারবো।'

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) ২০১০ এর কাছে বলবৎ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন বা অন্য কোন আইন কার্যকর নয়। এই আইনের অধীনে কাজ বাস্তবায়ন বা আদেশ/নির্দেশ নিয়ে আদালতেও প্রশ্ন তোলা যাবেনা। তাই বিশেষ আইনে তিতাসের পাইপলাইন বসানোর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সালেক সুফী বলেন, 'এটাও তো আরেক ধরনের দুর্নীতি। স্পেশাল অ্যাক্টের আওতায় অনেক প্রকল্প অনেক দুর্নীতি ও অস্বচ্ছভাবে করা হয়েছে। কোম্পানিগুলোতে নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে। এগুলো করে হবে কি, আরো বড় ধরনের প্রকিউরমেন্ট হবে, এগুলোর মধ্য দুর্নীতি করা হবে।'

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, 'বিশেষ বিধান আওতায় প্রতিযোগিতা ছাড়াই কাজ দিয়ে কাজ করানোর ক্ষমতা দিয়ে তাদের হাতে টাকা দিতে হবে? বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে যোগ্য কনট্রাকটারকে কাজ দেয়ার পক্ষে আমি দাবি জানাচ্ছি।'

পুরোনো লাইন প্রতিস্থাপন না করে তার বদলে এলপিজিকে উৎসাহিত করার পক্ষেও মত রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ