মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল জনাব এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল৷
শনিবার (২১শে সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে ভোলা জেলা পরিষদ মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ভোলার ৪৬ শহীদ পরিবারের মধ্যে অনুদান বিতরণ ও তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়াও তিনি বলেন, শহীদ পরিবারের সদস্যদের কষ্ট ও কলিজা ছেঁড়া আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। রাষ্ট্রীয় সব শক্তি কাজে লাগিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট অপশক্তি ছাত্র-জনতার আন্দোলন ব্যর্থ করে দিতে চেয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষী, ছাত্র-জনতার আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়নি। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে ভারত গিয়েও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে৷ ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনর সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানান নেতাকর্মীদের কাছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত পাঠ ও আলহেরা শিল্পী গোষ্ঠীর সংগীত পরিবেশন করা হয়।
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ভোলা জেলা শাখার মাষ্টার মোহাম্মদ জাকির হোসেন এর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনাব এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারী জনাব মোহম্মদ হারুনুর রশিদ, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারী অধ্যাপক জিয়াউল মোর্শেদ, জেলা সূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য জনাব আমিন হোসেন, জেলা সূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা জাকির হোসেন, ভোলা সদর উপজেলার আমির মাওলানা কামাল হোসেন, ভোলা সদর উপজেলার সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল গাফফার, ভোলা পৌরসভার সেক্রেটারী মোহাম্মদ রুহুল আমিন,ভোলা পৌরসভার সূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ আতাউর রহমান প্রমূখ।
এছাড়াও অন্যান্য বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার এই ঐতিহাসিক বিজয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করলে এর দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। এ দেশের জনগণ এখন সজাগ ও সচেতন রয়েছে, কোনো কুচক্রী মহলের কোনো দেশবিরোধী এজেন্ডা আর বাস্তবায়ন করতে দেবে না।এই জাতিকে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জুলুম এবং শোষণ করে একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে রাখা হয়েছিল। মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না, জীবনের নিরাপত্তা ছিল না, নিজ ঘরের মধ্যে থাকলেও খুন করা হতো। এমন অবস্থায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিজয়কে আমাদের টিকিয়ে রাখা নৈতিক দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন যায়গায় নিহত ভোলার ৪৬ পরিবারের মধ্যে ২৫ জনকে নগদ ২ লাখ টাকা ও ২১ জনকে পূর্বে ১লাখ টাকা দেওয়ায় বাকী ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে৷ এসময় শহীদের পরিবারের বাবা -মা অথবা অন্য কোন নিকটাত্মীয় সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ভোলার বিভিন্ন যায়গা থেকে দলবেঁধে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন।