চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’ গ্রুপের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর পৌর এলাকার টোরাগড় গ্রাম ও মকিমাবাদ সর্দার বাড়ির দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়।
তিন ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে দু’ গ্রুপের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা। এই ঘটনায় আজ বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে হাজিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্র দলের কমিটি বাতিল করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই হাজীগঞ্জ বাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে যায়। তবে চাঁদাবাজি, দখলসহ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় সর্দার বাড়ির বিএনপির একটি গ্রুপ ও টোরাগড় গ্রামের বিএনপির অপর গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আহত হন অনেকে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর দু’ পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়ে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে টোরাগড় এলাকার গ্রুপটি হাজীগঞ্জ বাজারে হামলা চালায়। এ সময় দু’পক্ষের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ অবস্থায় পুলিশের একটি টিম হাজীগঞ্জ বিশ^রোড এবং আরেকটি টিম থানা রোড এলাকায় সতর্ক অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি ভয়াবহ দেখে পুলিশ সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। রাত ১০টার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ও পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুরের নবাগত পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের তৎপরতায় হাজীগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।