নিশিকান্ত মালাকার। দিনাজপুর বনবিভাগের চরকাই রেঞ্জ কর্মকর্তা। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের মদদে সরকারি চাকরির সকল বিধিবিধান কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে টানা পনের বছর একই রেঞ্জে চাকরি করছেন এই নিশি মালাকার। শুধু তাই নয় গড়েছেন দুর্নীতির পাহাড়।
টাকার বিনিময়ে বন উজাড়, বনের জমি দখলে সহযোগিতা, অবৈধ করাতকল, ইটভাটা, স্থাপন, ভূয়া মালিকানা দেখিয়ে সামাজিক বনায়নের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাৎ, কাঠের পরিমান কম দেখিয়ে টেন্ডারমূল্য কম দেখিয়ে পছন্দের লোককে কাজ পাইয়ে দেওয়া, অনিয়মের প্রতিবাদ করলে নিরীহ লোককে মিথ্যে মামলায় হয়রানী করা কি অভিযোগ নেই নিশিকান্তের বিরুদ্ধে। কিন্তু উপরমহলকে ম্যানেজ করে দিনের পর পর বহাল তবিয়তে সীমাহীন ভাবে চলেছে তার দুর্নীতি।
সর্বশেষ গত ৩১ জানুয়ারী দরপত্র নং ২৯ অব ২০২৩-২৪ মুলে এক হাজারের অধিক লট বিক্রির দরপত্র আহ্বান করে দিনাজপুর বন বিভাগ।
কাঠ ব্যবসায়ীরা জানান, যে সব টেন্ডার আহবান করা হয়েছিলো সে গাছগুলোর নূন্যতম মূল্য হওয়ার কথা ছিলো ১৫ কোটি টাকা। কিন্তু নিশিকান্ত মালাকার কয়েক জন চিহ্নিত দালাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে আতাত করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উন্মুক্ত টেন্ডার না দিয়ে গোপন সমঝোতায় নাম মাত্র মূল্যে তার পছন্দের কাঠ ব্যবসায়ীকে গাছগুলো পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়।
এছাড়াও নিশিকান্তের প্রত্যক্ষ মদদে গত ১৫ বছরে চরকাই রেঞ্জের বিভিন্ন বিটে চলেছে বনের জায়গা দখলের মহোৎসব। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চলেছে জায়গা দখলের মহোৎসব। চাষাবাদের জন্য বাৎসরিক ইজারা পদ্ধতি এবং বসত বাড়ি করার জন্য এককালিন পদ্ধাতিতে চলেছে টাকা আদায়। এছাড়াও করাতকল, ইটভাটা জন্যও নেওয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকা।
অভিযোগ রয়েছে বনের পাশে জমির ভূয়া গেজেট বানিয়ে বনের জমি দাবী করে টাকা দাবীর। নির্বিচারে বনের গাছ কেটে বন উজাড় করায় সিদ্ধ হস্ত এই নিশিকান্ত মালাকার। নিশিকান্ত মালাকারের এসবের প্রতিবাদ যারা করেছে তাদের একের পর এক মামলা করে করেছেন হয়রানী। মধ্যপাড়ার সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রফিকের ছেলে বিশিষ্ট কাঠ ব্যবসায়ী মোঃ সাইমুল হককে ১৪ টি বন মামলায় আসামি করে নিশিকান্ত মালাকার।
নিশিকান্তের এসবের অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে স্থানীয়রা গত ১৫ সেপ্টেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা, প্রধান বন সংরক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।