ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দৌলতখান উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলী আজম মুকুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলা হয়েছে। এটি তার বিরুদ্ধে হওয়া ৩য় মামলা। এর আগেও তার বিরুদ্ধে দৌলতখান এবং ভোলা সদর থানায় আরো দুটি মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বোরহানউদ্দিন উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক পরাণ আহসান বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য ভোলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে নির্দেশ দেন। মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. আহসান উল্লাহ সুমন।
মামলার অন্যান্য ৬ আসামিরা হলেন- বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইবনে মাসুদ সোহাগ, যুবলীগ কর্মী সবুজ গোলদার, হুমায়ুন গোলদার, নুরনবী এবং নূর উদ্দিন ফরাজী।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর দুপুরের দিকে ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলের নির্দেশে পৌরসভা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইবনে মাসুদ সোহাগসহ উল্লেখিত আসামিরা তাকে বোরহানউদ্দিন পূর্ব বাজার থেকে অপরহরণ করে। পরে মুকুলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে তাকে মারধর করেন তারা। এ সময় তার টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় আসামিরা।
এমনকি তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রবেশ করে সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহীমসহ বিএনপির গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ পোষ্ট করেন তারা।
ভোলা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সামসুল আরেফিন জানান, এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি বিচারক ডিবিকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছে।